প্রকাশিত:
১১ আগষ্ট ২০২৩, ০৫:০৬
যুক্তরাষ্ট্র, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও কানাডা—এই পাঁচ দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট আসার খবর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। জাতিসংঘের এই সংস্থার আশঙ্কা, আরো কিছু দেশে এই ভেরিয়েন্ট এসে থাকতে পারে।
এমন আশঙ্কার কারণও জানিয়েছের ডাব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রস আদহানম গেব্রেসুস। বুধবার তিনি জানান, অনেক দেশই এখন ডাব্লিউএইওকে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য দিচ্ছে না।
এ কারণে সাম্প্রতিক সময়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য কম পাওয়া যাচ্ছে। করোনাসংক্রান্ত জটিলতা যাদের শরীরে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে মাত্র ১১ শতাংশ মানুষ আইসিইউতে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
বেশির ভাগ দেশ করোনা সংক্রমণসংক্রান্ত খবর না জানানোয় হতাশা প্রকাশ করে টেড্রস আদহানম গেব্রেসুস বলেন, ‘এ কারণে আমরা এই মুহূর্তে কেভিড-১৯-এর কারণে মোট কতজন মারা গেছে তা বলতে পারছি না।’
এদিন ডাব্লিউএইচও জানায়, কভিড-১৯-এর প্রকোপ অনেক কমে গেলেও করোনার বিদায়ের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং ইতিমধ্যে চলে এসেছে নতুন ভেরিয়েন্ট। সংস্থাটি নতুন ইজি.৫ ভেরিয়েন্টের নাম দিয়েছে, ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’।
বিবৃতিতে ডাব্লিউএইচও জানায়, নতুন রূপে আসা এই করোনা যুক্তরাষ্ট্রের কিছু এলাকায় বেশ দ্রুত ছড়াচ্ছে। করোনা পরীক্ষা করা ১৭ শতাংশ মানুষের দেহে এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
তবে বিবৃতিতে জানানো হয়, এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের আলোকে ধারণা করা যায়, ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ সারা বিশ্বে মহাতঙ্ক ছড়ানো কভিড-১৯-এর মতো বিপজ্জনক নয়, জনস্বাস্থ্যে বড় ধরনের হুমকি হয়ে ওঠাার আশঙ্কাও অনেক কম।
কম বিপজ্জনক হলেও ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্টকে’ অবশ্য খাটো করে দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে এর টিকা বাজারে নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) পরিচালক ড. ম্যান্ডি কোহেন জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি বা শেষ দিকেই ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্টের’ টিকা চলে আসতে পারে।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: