[email protected] শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানি ২ হাজার ছাড়াল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত:
১০ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ১৪:৩৬

ছবি: সিএনএন

উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত দুই হাজার ছাড়িয়েছে। আহতের ১৪শ’ ছাড়িয়েছে। এছাড়াও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে অনেকে।

আজ রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে বিবিসির এক খবরে এই তথ্য জানানো হয়।

মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্যের বরাতে সিএনএন বলছে, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২ হাজার ১২ জন। আর আহত হয়েছেন ২ হাজার ৫৯ জন মানুষ। এর মধ্যে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। আর সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছেন মারাক্কেশের দক্ষিণে অবস্থিত প্রদেশগুলোতে।

এর আগে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার রাত ১১টা ১১ মিনিটে পাহাড়ি অঞ্চল আল-হাউসে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পে ঘরবাড়িসহ বহু ভবন ধসে পড়ে। বলা হচ্ছে, এটি মরক্কোয় বেশ কয়েক দশকের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নিহতদের এক-তৃতীয়াংশই আল-হাউস এলাকার।

অন্যরা তারোদান্ত, ওয়ারজাজাতে, চিচাওয়া, আজিলাল, ইউসুফিয়া, ক্যাসাব্লাংকা, মাগাদির ও মারাকেশ অঞ্চলের।

এদিকে, ভূমিকম্পের পরপরই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। শেষ খবর অনুযায়ী উদ্ধার অভিযান চলছিল। মরক্কোর সহায়তায় এগিয়ে আসার কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল আল-হাউস দেশটির অন্যতম প্রধান পর্যটন এলাকা মারাকেশ থেকে ৭২ কিলোমিটার (৪৫ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।

ভূপৃষ্ঠের ১৮.৫ কিলোমিটার গভীরে এটি আঘাত হানে। কম্পন অনুভূত হয় মরক্কোর উপকূলীয় শহর ও রাজধানী রাবাত, ক্যাসাব্লাংকা ও ইসাওইরা অঞ্চলেও।

মরক্কোয় স্মরণকালের মধ্যে এই মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানেনি। এক বিশেষজ্ঞ এটিকে এ অঞ্চলে ১২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প বলে উল্লেখ করেন।

এর আগে ২০০৪ সালে মরক্কোয় এক ভূমিকম্পে ৬২৮ জন নিহত ও ৯২৬ জন আহত হয়। ১৯৬০ সালে আগাদির অঞ্চলে আঘাত হানা ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। ১৯৮০ সালে মরক্কোর প্রতিবেশী আলজেরিয়ার এল আসনামে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে আড়াই হাজার মানুষ নিহত ও অন্তত তিন লাখ মানুষ গৃহহারা হয়েছিল। সূত্র : এএফপি, আলজাজিরা, বিবিসি, সিএনএন।

বাংলা গেজেট/বিএম


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর