[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

ওজন কমাতে যে কাজগুলো করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৯ আগষ্ট ২০২৩, ২১:৫০

ফাইল ছবি

ওজন কমানো সহজ নয়। লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য অনেককিছু করতে হয়। স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং ব্যায়ামের রুটিন সম্পর্কে বেশিরভাগই সচেতন। কিন্তু আপনি কি জানেন যে আমাদের রাতের কিছু কাজ ওজন কমানোর এই যাত্রায় সমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে?

বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মেটাবলিজম স্বাভাবিকভাবেই ধীর হয়ে যায়। তাই রাতের বেলা আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই কাজগুলো সম্পর্কে-

পেপারমিন্ট চা পান করুন

রাতের বেলা অনেকেরই চা কিংবা কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে। আপনারও যদি একই অভ্যাস থাকে তবে তা বন্ধ করতে হবে। এর বদলে পেপারমিন্ট চা পান করুন। কারণ পেপারমিন্ট আমাদের মেটাবলিজম বাড়াতে এবং চর্বি পোড়ানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে। ঘুমানোর আগে এই চা খেলে তা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী হতে পারে। অপরদিকে চা কিংবা কফি বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ এগুলো আমাদের ঘুমের চক্রকে ব্যাহত করে। ফলে বিপাক প্রক্রিয়ায়ও তার প্রভাব পড়ে।

রাতের খাবার হালকা হোক

একটি জনপ্রিয় প্রবাদ আছে, ‘রাজার মতো সকালের নাস্তা, রাজপুত্রের মতো দুপুরের খাবার এবং দরিদ্রের মতো রাতের খাবার খাও।’ কথাটি সম্পূর্ণ সত্যি, কারণ দিনের সবচেয়ে হালকা খাবার হওয়া উচিত রাতের খাবার। রাতে উচ্চ প্রক্রিয়াজাত বা চিনিযুক্ত খাবার খেলে তা আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং ওজন বাড়াতে পারে। আপনার রাতের খাবার যতটা সম্ভব হালকা রাখুন। রাতের খাবারে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফাইবারযুক্ত খাবার রাখার চেষ্টা করুন।

দেরি করে রাতের খাবার খাবেন না

শুধু পরিমাণ নয়, রাতের খাবার কখন খাচ্ছেন তার ওপরও নির্ভর করছে আপনার ওজন কতটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আপনি যদি ঘুমে আগে আগে খান তাহলে তা কেবল আপনার ঘুমই নষ্ট করবে না, সেইসঙ্গে প্রভাব ফেলবে হজমক্ষমতার ওপরেও। তাই ঘুমের আগে যদি হালকা ধরনের খাবারও খান, তা বাড়তি মেদের কারণ হতে পারে। রাতের খাবার ও ঘুমের মধ্যে অন্তত ২ ঘণ্টার ব্যবধান রাখা উচিত। সন্ধ্যর পরপরই ডিনার করে নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।

অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন

রাতে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় পান করলে তা আপনার ঘুম নষ্ট করতে পারে। এটি আমাদের শরীরকে চর্বি পোড়ানোর কাজে বাধা দিতে পারে, এমনকী কমাতে পারে বিপাক ক্ষমতাও। মাঝরাতে হালকা নাস্তা খেলে সেটিও এমন বড় কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না, যেটা অ্যালকোহল পানের ফলে হতে পারে। তাই এটি এড়িয়ে চলুন।

স্বাস্থ্যকর নাস্তা খান

মাঝরাতে অনেকেরই ক্ষুধা লাগে। যদিও রাতে দেরিতে খাওয়া এড়াতে পারলে ভালো। তবে ক্ষুধা পেলে তো আর না খেয়ে থাকা যাবে না। এক্ষেত্রে চিপসের বদলে একমুঠো বাদাম খেতে পারেন। রাতের বেলা আমরা যা করি এবং যা খাই, তার প্রভাব কিন্তু পরদিন পড়ে। তাই ওজন কমানোসহ সার্বিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য রাতের বেলা এই নিয়মগুলো মেনে চলুন।

 

 

বাংলা গেজেট/এমএএইচ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর