প্রকাশিত:
১৬ আগষ্ট ২০২৩, ২২:৫৯
ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ সারানো বা নিরাময় করা যায় না। তবে এ রোগ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং এই বিষয়ে ডাক্তার রোগীকে সাহায্য করতে পারেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে তিনটি ধাপ মানতে হয়: ক) নিয়ন্ত্রিত খাদ্য গ্রহণ, খ) সাধ্যমত কায়িক পরিশ্রম ও ব্যায়াম, গ) ওষুধ। প্রতিটি ধাপ সম্পর্কে পর্যাপ্ত শিক্ষা গ্রহণ করে প্রকৃত শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে এবং জীবনযাত্রায় আনতে হবে ইতিবাচক পরিবর্তন।
নিয়ন্ত্রিত খাদ্য গ্রহণ
ডায়াবেটিস হলে খাদ্যের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা ডায়াবেটিস হওয়ার আগে যে রকম থাকে, পরেও একই থাকে। পুষ্টির চাহিদার কোনো তারতম্য হয় না। খাদ্যের নিয়ম মেনে চলার প্রধান উদ্দেশ্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, স্বাস্থ্য ভালো রাখা।
সাধারণভাবে যে খাবার বেশি খেতে হবে: ১) আঁশবহুল খাবার বেশি খেতে হবে; ২) উদ্ভিদ তেল, অর্থাৎ সয়াবিন তেল, সরিষার তেল ইত্যাদি এবং সব ধরনের মাছ খাওয়া অভ্যাস করতে হবে; ৩) ওজন স্বাভাবিক রাখতে হবে; ৪) চিনি-মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া যত টুকু সম্ভব বাদ দিতে হবে; ৫) চাল, আটা দিয়ে তৈরি খাবার, মিষ্টি ফল ইত্যাদি কিছুটা হিসেব করে খেতে হবে; ৬) ঘি, মাখন, চর্বি, ডালডা বর্জন করতে হবে; ৭) লাল চর্বি যুক্ত মাংস কম খেতে হবে; ৮) অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হলে অর্থাৎ অসুস্থ অবস্থায় বিশেষ খাদ্য-ব্যবস্থা জেনে নিতে হবে।
ব্যায়াম
রোগ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ব্যায়াম বা শরীর চর্চার ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ থাকে, ইনসুলিনের কার্যকারিতা ও নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে যায়। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট মধ্যম গতিতে হাঁটা যথেষ্ট। শারীরিক অসুবিধা থাকলে সাধ্যমত কায়িক পরিশ্রম করতে হবে।
ওষুধ
সকল ডায়াবেটিক রোগীকেই খাদ্য, ব্যায়াম ও শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে, বিশেষ করে বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে, এই দুইটি যথাযথভাবে পালন করতে পারলে রোগ নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ইনসুলিন ইনজেকশনের দরকার হয়। অনিয়ন্ত্রিত টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে চিকিৎসক রক্তের শর্করা কমাবার জন্য খাবার বড়ি দিতে পারেন। তবে প্রয়োজনবোধে ইনসুলিন ব্যবহার করা লাগতে পারে।
তথ্যসূত্র: ডায়াবেটিস বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: