[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

এই সময়ের জ্বরে কী করবেন?

স্বাস্থ্য ডেস্ক

প্রকাশিত:
৮ আগষ্ট ২০২৩, ১৫:৫৫

ফাইল ছবি

জ্বর হলে কী করা উচিত? কোন ধরনের খাবার খাওয়া ভালো? এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবেদ হোসেন খান। এই তথ্য জানিয়েছে কালেরকণ্ঠ

জ্বর একটি উপসর্গ, কোনো রোগ নয়। বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রোগের প্রকোপে জ্বর হতে পারে। যেমন—বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু রোগের জন্য জ্বর হচ্ছে। এ ছাড়া তাপমাত্রা ও আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে জ্বর হতে পারে।

 

জ্বর হলে কী করবেন?

বিচলিত না হওয়া

জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকে। সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিনে জ্বর সেরে যায়। জ্বরের হলে বিচলিত হওয়া যাবে না। জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে আর কী কী লক্ষণ রয়েছে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

জ্বরের সঙ্গে অন্য যেসব উপসর্গ থাকে তা অন্য রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করে।

 

জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল

রোগীর কিডনি সমস্যা বা অন্য কোনো জটিলতা না থাকলে জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল গ্রহণ করতে হবে। শরীরে ১০০-১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলে ট্যাবলেট হিসেবে ভরাপেটে প্যারাসিটামল খেতে হবে। ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে সাপোজিটরি দিতে হবে।

জ্বরের তিন দিন পর্যন্ত অস্বাভাবিক কোনো লক্ষণ না থাকলে রোগী শুধুই প্যারাসিটামল গ্রহণ করবে।

 

অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে সাবধানতা

জ্বর বেড়ে গেলে অনেকের মাঝে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের প্রবণতা দেখা যায়। অ্যান্টিবায়োটিক জ্বর কমায় না, শরীরে প্রবেশ করা জীবাণুকে মেরে ফেলে কিংবা দুর্বল করে দেয়। অহেতুক অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের কারণে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ওই অ্যান্টিবায়েটিক আর কাজ না-ও করতে পারে।

তাই ডাক্তারের পরামর্শ এবং ব্লাড কালচার, ইউরিন কালচার—এ ধরনের টেস্ট করিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করাই শ্রেয়।

 

ব্যথার ওষুধ সেবনে ‘না’

জ্বরের কারণে শরীরে ব্যথা থাকলেও কোনো ধরনের ব্যথার ওষুধ সেবন করা যাবে না। ব্যথার ওষুধ সেবনে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর রক্তক্ষরণ পর্যন্ত হতে পারে।

বেশি করে তরলজাতীয় খাদ্য গ্রহণ

জ্বর হলে খাওয়ার রুচি কমে যায়। সুস্থ হওয়ার জন্য চিকিত্সার অংশ হিসেবে সঠিকভাবে রোগীকে খাওয়াদাওয়া করতে হবে। তরলজাতীয় খাদ্য বেশি খেতে হবে।

বাসায় রান্না করা খাবারে প্রাধান্য

বাসায় তৈরি কম তেল ও মসলা দিয়ে রান্না করা খাবার খেতে হবে। রেস্টুরেন্ট কিংবা হোটেলের তৈরি খাবার গ্রহণ থেকে রোগীকে বিরত থাকতে হবে। ঠাণ্ডা খাবার নতুন রোগের উত্পত্তি ঘটাতে পারে, তাই জ্বর অবস্থায় ঠাণ্ডা খাবার না খাওয়া ভালো।

খাবারে অরুচি দূরীকরণ

জ্বর হলে বমিভাব থাকে, যার জন্য খাবারে অরুচি আসে। বমিভাব কমাতে ডমপেরিডন-জাতীয় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। এ ছাড়া রোগীর পছন্দের খাবারগুলো খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন।

জ্বরের সময় রোগীকে সুস্থ হতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান জোগান দিতে হবে। এর জন্য সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে।

এতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেলস, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন—সব কিছুর জোগান মিলবে। অল্প দিনের মধ্যেই রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর