[email protected] বুধবার, ২৭শে নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হারিয়ে যেতে বসেছে সুস্বাদু রসের খেজুর গাছ

ফিচার ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৬ নভেম্বার ২০২৩, ১৮:৪১

ফাইল ছবি

শীত এলেই মনে পড়ে খেজুরের রসের কথা। শীতকাল মানেই পিঠাপুলির আনন্দে ও স্বাদে জড়িয়ে আছে খেজুরের রস ও গুড়। এই ঘ্রাণে যেন মুখরিত হয়ে ওঠে চারিদিক। কিন্তু কালের পরিবর্তনে গ্রাম কিংবা শহরে বিল্ডিং বেড়ে যাওয়ায় কাটা পড়ছে অজস্র গাছ।

সেগুলোর মধ্যে একটি হলো খেজুর গাছ। আর তাই বৃহত্তর রংপুরে দিন দিন কমে যাচ্ছে খেজুর গাছের সংখ্যা। একটা সময় গ্রামাঞ্চলে সর্বত্রই চোখে পড়ত এই গাছ যা বর্তমান কমে গেছে অনেকাংশেই। অতীত থেকেই এক পায়ে দাঁড়িয়ে মাথা উঁচু করে যেন আকাশ পানে তাকিয়ে শোভাবর্ধক হিসেবে আছে খেজুর ও তাল গাছ।

দেখা যেত পুকুরপাড়ে, নদীর ধারে, মাঠের দুপাশে, কিংবা ক্ষেতের আল ঘেঁষে, এমনকি বাড়ির এককোণে শোভাবর্ধন করত খেজুর গাছ। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে বদলে গেছে এই চিত্র।

খেজুর রস সংগ্রহকারী গাছী শফিকুল আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আগে প্রত্যেক শীত মৌসুমে অন্যের ৮/১০টি খেজুর গাছ নামমাত্র মূল্যে নিয়ে কেটে রস বিক্রি করে সংসার চালাতাম। কিন্তু বর্তমানে গাছের সংখ্যা কম। অনেকেই কেটে বাড়ি করছে, আবার রাস্তা বড় করতে কাটা পড়ছে।

দখিগঞ্জ এলাকার তৈয়ব আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আগে ১০-১২টি খেজুর গাছ ছিল কিন্তু জমি ভাইবোনদের মাঝে ভাগাভাগি হওয়ায় এখন সবজি চাষ করা হচ্ছে জমিতে। তাই আর খেজুর গাছও নাই রস নাই। আগে শীতকালে রস খাওয়ার যে স্বাদ, গন্ধ আনন্দ এখন নাতি-নাতনিরা বলতে পারবে না।

পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের উপদেষ্টা শিক্ষক শামসুল আলম বলেন, আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে খেজুর গাছ ও রস। শীতকাল মানেই কিছুটা আনন্দ বিরাজ করে পিঠা, পায়েসে খেজুরের রস খাওয়ার ধুম পড়ে। গাছিদের অত্যাচার এবং গাছ কেটে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ি, খামার নির্মাণের জন্য। কিন্তু আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা জন্য এই গাছ রক্ষা করা অতিব গুরুত্বপূর্ণ।

 

বাংলা গেজেট/এমএএইচ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর