প্রকাশিত:
২৪ অক্টোবার ২০২৩, ১৬:০১
কথায় বলে বার্ধক্য মানে ফের শৈশবে ফিরে যাওয়া। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হজম ক্ষমতা কমতে থাকে। আর তাই সুস্থ থাকতে এই সময় খাবারের বিষয়ে একটু বেশিই সতর্ক থাকতে হবে।
জীবনের প্রতি পর্যায়ে এক এক রকম খাদ্যাভ্যাস থাকে। সব সময়ই সহজপাচ্য খাবার খাওয়ার ওপর জোর দেন বিশেষজ্ঞরা। অতিরিক্ত তেল-মশলাদার খাবার খেলে সব সময়ই সেখান থেকে হয় একাধিক অসুবিধা।
আর তাই বয়স ৪০ হলেই রোজকার জীবনে কিছু নিয়ম যোগ করতে পারলে বয়স হলেও হজম শক্তিতে কোন সমস্যা হবে না।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
বয়স ৪০ পার হলেই হজমশক্তি বাড়াতে প্রথমেই শারীরিক চর্চার দিকে নজর দেয়া উচিত। সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে তিনদিন ব্যায়াম, শারীরিক চর্চা বা হাঁটাহাঁটির অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে যাতে করে শরীরে চর্বি বা মেদ জমতে না পারে।
নিয়মিত খাবার গ্রহণ
অনেকেই ভেবে থাকে কোন বেলা খাবার এড়িয়ে গেলে হয়তো ওজন কমবে বা বিপাক ক্রিয়া ধীর হবে। কিন্তু এটি ভুল ধারণা, বরং এটি শরীরের শক্তি অপচয় করে। তাই সারা দিন অল্প পরিমাণে, সুষম খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। খাদ্য তালিকায় প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং জটিল কার্বোহাইড্রেট রাখা উচিত।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
হজম শক্তি বৃদ্ধির সেরা উপায় পানি পান। ডিহাইড্রেশন হজম শক্তি কমিয়ে দেয়। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। বিশেষ করে ব্যায়ামের আগে, চলাকালীন এবং পরে পানি পান করতে ভুলবেন না। এছাড়া ভেষজ চা এবং বিভিন্ন পানীয় প্রতিদিনের তালিকায় থাকলে স্বাস্থ্য উপকারিতাও পাওয়া যাবে।
পর্যাপ্ত ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুম বিপাক হার বৃদ্ধিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব শরীরে হরমোনের ভারসাম্যকে ব্যাহত করে এবং ক্ষুধা ও শক্তি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন করে তোলে। তাই হজম শক্তি বাড়াতে প্রতি রাতে ৭-৮ ঘণ্টার নিরবচ্ছিন্ন ঘুম প্রয়োজন।
মানসিক চাপ দূর করুন
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ মানসিক সুস্থতার জন্য খারাপের পাশাপাশি এটি হজম শক্তি ধীরগতির জন্য ও দায়ী। উচ্চ মাত্রার মানসিক চাপ কর্টিসল নিঃসরণকে বৃদ্ধি করে, এই হরমোন ওজন বৃদ্ধি এবং বিপাক হার ধীর গতির করে দেয়। তাই এই বয়সে মানসিক চাপ না নেয়াই ভালো। ধ্যান, যোগব্যায়াম, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো যেতে পারে। সূত্র: দেশ রূপান্তর
বাংলা গেজেট/বিএম
মন্তব্য করুন: