প্রকাশিত:
৩০ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ১৯:০৩
দেশে প্রতি ৪ জনে ১ জন অর্থাৎ ২৫ ভাগ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। বিশ্বে প্রতিবছর ২ কোটিরও বেশি মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান, যার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। হৃদরোগজনিত মৃত্যুর ৮০ ভাগ প্রতিরোধযোগ্য হলেও বাংলাদেশে হৃদরোগ ঝুঁকি এবং হৃদরোগজনিত মৃত্যু ক্রমেই বাড়ছে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং এ খাতে বাজেট বৃদ্ধির মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপজনিত হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশেই মোকাবিলা করা সম্ভব।
বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে হৃদরোগ ঝুঁকি এবং করণীয়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন জনস্বাস্থ্য ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা। এ আয়োজনে সহযোগিতা করেছে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)।
ওয়েবিনারে জানানো হয়, ডব্লিউএইচও’র গ্লোবাল রিপোর্ট অন হাইপারটেনশন ২০২৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর ২ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ হৃদরোগে মারা যায়, যার ৫৪ শতাংশের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপ। বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের (৩০-৭৯ বছর বয়সী) অর্ধেকই জানেন না যে, তাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের হার খুবই কম, মাত্র ৩৮ শতাংশ। নিয়মিত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছেন মাত্র ১৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রতি ৭ জনে ১ জন।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেছেন, ‘অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ। এটি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসবে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. ফারজানা আক্তার ডরিন বলেন, ‘বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ দেওয়ার পাশাপাশি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপজনিত হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।’
জিএইচএআই’র বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মদ রূহুল কুদ্দুস বলেন, ‘হৃদরোগ প্রতিরোধে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি।’
ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন— প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের। বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপজনিত হৃদরোগের প্রকোপ ও করণীয় সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রজ্ঞার হেড অব প্রোগ্রামস মো. হাসান শাহরিয়ার। ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন প্রজ্ঞার কো-অর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এই ওয়েবিনারে অংশ নেন। সূত্র: রাইজিংবিডি
বাংলা গেজেট/বিএম
মন্তব্য করুন: