প্রকাশিত:
২৬ নভেম্বার ২০২৩, ২১:৩৫
বর্তমানে সিনেমা নাটক কিংবা ওটিটি কাজ দর্শক দেখুক আর নাই দেখুক, শিল্পী পরিচালকরা এমনভাবে প্রচার করেন যাতে মনে হয় বিরাট সফলতা পেয়েছে। কিন্তু অরুণা সেই দলের নন। তিনি বরাবরই স্পষ্টভাষী। তাই নিজের সিনেমার ব্যবসায়িক ব্যর্থতার কথা বলতে তার একটুও বাঁধে নি। এমনকি তিনি যে সেটি মেনে নিতে মানসিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন সে কথাও তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, ‘অসম্ভভ ছবিটি নিয়ে আমার প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী। রাজনৈতিক অস্থিরতায় ছবিটি মোটেও সুবিধা করতে পারেনি। এমন একটা সময়ে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে, ফলাফলে মনটা ভীষণ খারাপ হয়েছে। বলা যেতে পারে, ছবিটি মুক্তির পর ট্রমার মধ্যে পড়েছি। এখনো সেই ট্রমার মধ্যে আছি। এসবের কারণে মনে হয়েছে, সব সময় আমিই কেন এমন ঝামেলার মধ্যে পড়ি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো কিছু পাব নিশ্চিত জেনেও শেষ মুহূর্তে কী যেন হয়ে যায়। আশা করি, আশাহত হতে হয়। আমার ভাগ্যই কেমন যেন বিরূপ আচরণ করে। তাই ভাবতে থাকি, সবকিছু পেতে হলে এত কষ্ট করতে হবে কেন? কত মানুষ কত কী করে ফেলে লবিং-টবিং করে। ঠিক পথে থেকেও আমাকে কেন কষ্ট করতে হয়।’
অরুণার ভাষ্য, ‘লবিং করে অযোগ্য, মেধাহীনকে প্রতিষ্ঠা পেতে দেখেছি। কত কত পুরস্কারও পায় লবিং করে। এ রকম বহু প্রমাণ আছে। এসবের কারণে মেধাবী ও যোগ্যরা হতাশ হয়। রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাওয়ার অধিকার প্রত্যেক শিল্পীর আছে। এই পুরস্কার যখন দু-একজনের মধ্যে আটকে যায়, তখন বিষয়টা কষ্টের। অনেক শিল্পী মানসিকভাবে হতাশ হয়। কাজে উদ্যম হারায়ও। একজন মানুষ খুব বেশি দক্ষ অভিনেতা না, তারপরও যদি সে সম্মান পায়, অনুপ্রাণিত হয়। সারা জীবন এ দেশের সংস্কৃতির পেছনে থাকতে থাকতে মানুষের প্রত্যাশা তো তৈরি হতেই পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন, তখন এমন অবস্থায় এমনটা ছিল না। এগুলো আমরা বুঝতামও না। তা ছাড়া আগে কথা বলার সাহস ছিল না, তাই বলতেও পারতাম না। তবে এখন বুঝি যে অনেক শিল্পীর পুরস্কারের ক্ষেত্রে প্রাপ্তির সঠিক প্রক্রিয়া মানা হয়নি। এই দায় সবারই। আমার কাছে মনে কয়েকজন শিল্পীকে তো অবশ্যই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এটা নিয়ে যদি বিশ্লেষণ হয়, তাহলে জানা যাবে।’
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: