প্রকাশিত:
২২ নভেম্বার ২০২৩, ২১:২৯
‘টোয়াইলাইট’ ফ্রাঞ্চাইজির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পান ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট ও রবার্ট প্যাটিনসন। অভিনয় দক্ষতাতো আছেই, এই দুই তারকার রসায়ন আর গুড লুকস সবার নজর কাড়ে। এছাড়াও তাদের মধ্যকার প্রেম-বিচ্ছেদ নিয়েও কম আলোচনা হয়নি। বিচ্ছেদের কারণ ছিল স্টুয়ার্টের ধোঁকা। সেই ঘটনা অনেক বছর হয়ে গিয়েছে। আজও নেটিজেনরা তার বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ করে।
তবে সম্প্রতি পরিচালক ক্যাথেরিন হার্ডউইক এ বছর এক চমকপ্রদ তথ্য দেন। তিনি বলেন, চলতি বছর মে মাসে রবার্ট প্যাটিনসনের জন্মদিনে তিনি এবং ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট দু’জনই গিয়েছিলেন। হার্ডউইক জনপ্রিয় ফ্রাঞ্চাইজি ‘টোয়াইলাইট’-এর ২০০৮ সালে প্রকাশিত ১ম সিনেমার পরিচালক ছিলেন। দীর্ঘ বছর পর তারা আবার একত্রিত হয়েছিলেন। সীমিত এই পুনর্মিলনী তারা বেশ উপভোগ করেন।
তিনি জানান, টোনি কোলেটের সাথে তিনি এ বছর প্যাটিনসনের জন্মদিনে উপস্থিত হন। টোনির সাথে ২০২৪ সালে রবার্টের সিনেমা ‘মাইকি ১৭’ প্রকাশ পেতে চলেছে। তখনই সেখানে স্টুয়ার্টও আসেন। হার্ডউইক জানান, তারা দু’জন একে অপরকে দেখে উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন এবং আলিঙ্গন করেন।
এই ঘটনায় অন্যরমক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা। তারা স্টুয়ার্টের প্রতি বিভিন্ন কটুক্তি প্রকাশ করে। কেউ বলছে সে এখনো প্যাটিনসনকে ছাড়তে পারেনি; কেউ বলছে, তাকে একা ছেড়ে দিতে; আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, তিনি অনুষ্ঠান নষ্টকারী!
২০০৯-২০১৩ সাল অবধি তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। প্যাটিনসনকে স্টুয়ার্টের ঠকানোর ঘটনা বিশেষ আলোচনায় ছিল। ‘স্নোহোয়াইট এন্ড দ্য হ্যান্ডসম্যান’ সিনেমা করতে গিয়ে পরিচালক রুপার্ট স্যান্ডার্সের সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন অভিনেত্রী। তাই সবাই ভেবেছিল স্টুয়ার্ট আর প্যাটিনসন আর কখনো মুখোমুখি হবেন না। কিন্তু তাদের মধ্যে বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই নজরে পড়ছে। বর্তমানে প্যাটিনসন সুকি ওয়াটারহাউজের সাথে সম্পর্কে আছেন এবং তাদের প্রথম সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার প্রহর গুনছেন।
স্টিফেনি মেয়ারের লেখা ‘টোয়াইলাইট সাগা’ গল্পে নির্মিত এই সিনেমা সিরিজের শেষ কিস্তি ছিল ‘ব্রেকিং ডউন পার্ট ২’। যা প্রকাশ পেয়েছিল ২০১২ সালে। এক দশক পরও স্টুয়ার্ট এবং প্যাটিনসনকে ‘বেলা’ আর ‘এডওয়ার্ড’ নামেই ডাকেন ভক্তরা।
কইমই.কম
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: