প্রকাশিত:
১৪ নভেম্বার ২০২৩, ২১:২৫
আগামী বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ নির্বাচনে ঢাকাই চলচ্চিত্রের দাপুটে খল অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এরই মধ্যে প্যানেল গোছানোর কাজ শুরু করেছেন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো ঘোষণা দেননি। এদিকে গুঞ্জন চাউর হয়েছে, ডিপজলের প্যানেলে থাকবেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। যার ফলে বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়শা।
এ বিষয়ে ডিপজল বলেছেন, ‘এ পদে বেশ কয়েকজনকে নিয়ে ভাবছি। এ তালিকায় চিত্রনায়ক রুবেল এবং চিত্রনায়িকা মৌসুমী থাকতে পারে। সময় হলে চূড়ান্ত ঘোষণা দেব। যদি নিপুণ আমার প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করতে চায়, তাহলে তাকে বিবেচনা করব। কারণ নিপুণ আমার ঘরেরই মেয়ে। আমি ওকে চলচ্চিত্রে নিয়ে এসেছি। ও যদি আমার সঙ্গে নির্বাচন করতে চায়, তাহলে স্বাগত জানাব।’
গত নির্বাচনে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অপ্রীতিকর ঘটনার কথা উল্লেখ্য করে ডিপজল বলেন, ‘গত নির্বাচন নিয়ে যেসব অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তাতে চলচ্চিত্রের বদনাম হয়েছে। বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। আমি শুরু থেকেই এই বিভেদ ভুলে সবাইকে চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করার জন্য বলে আসছি। বারবার তাদেরকে আহ্বান জানিয়েছি। আমি সবসময়ই বলি, চলচ্চিত্র শিল্পীরা একটি পরিবারের মতো। এখানে বিভেদ থাকা উচিত নয়। নোংরামী হয়, এমন কাজ করা ঠিক নয়। নিজেদের মধ্যে মানঅভিমান ও মনোমালিন্য থাকতে পারে, তার মানে এই নয়, তা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে নিতে হবে। গত নির্বাচন নিয়ে যা হয়েছে, তা বাড়াবাড়ি ছিল এবং এতে আমাদের শিল্পীদের সম্মানহানি হয়েছে।’
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডিপজল বলেন, ‘সমিতির যত সদস্য আছেন, এমনকি সদস্য নন, তাদেরকেও আমি পরিবারের সদস্য মনে করি। তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমি মনে করি, সমিতির সদস্যদের স্বার্থে এখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলতে হবে। এতে শিল্পীদেরও কল্যাণ হবে, চলচ্চিত্রও উপকৃত হবে। নিপুণ যদি আবার নির্বাচন করে এবং আমার প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করে, তাহলে সমিতির স্বার্থে ওকে ওয়েলকাম করব। যেটা ভালো হয়, সময়মতো সেই সিদ্ধান্ত নেব।’
এদিকে জানা গেছে, শিল্পী সমিতির বর্তমান সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন নির্বাচন করবেন না। ফলে গত বছর যে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল ছিল, এবার তা না থাকার সম্ভাবনা বেশি। ফলে নিপুণ নির্বাচন করলে ডিপজলের প্যানেলে যেতে পারেন বলে তার ঘনিষ্টজনরা জানিয়েছেন। সমিতির অনেক সদস্য মনে করছেন, ডিপজল-নিপুণ প্যানেল হলে সমিতির মধ্যে বিরাজমান অনৈক্য ও বিতর্কের অবসান হবে। এতে সমিতি উপকৃত হবে। একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হবে।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: