প্রকাশিত:
১৪ নভেম্বার ২০২৩, ২১:১৩
লোকির মতো জটিল কাহিনীর টিভি সিরিজের জন্য যেখানে সারা বিশ্বে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স, সেখানে তাদের সর্বশেষ সিনেমা দর্শকদের করছে হতাশ। “দ্য মার্ভেলস” এখন বিশ্বব্যাপী থিয়েটারে চলছে, যেটি প্রকাশ পেয়েছে গত ১০ নভেম্বর। ব্রি লার্সন, ইমান ভিলানি এবং টেয়োনা প্যারিস অভিনীত এই সিনেমা একটি সুপারহিরো টিমআপের কাহিনী।
২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মার্ভেলের এই দ্বিতীয় খন্ড বক্স অফিসে বিশেষ জাদু ছড়াতে পারেনি। অবশেষে খেতাব জুটেছে প্রথম সপ্তাহে সর্বনিম্ন আয়কারী মার্ভেল সিনেমার। প্রথম ৪ দিনে মাত্র ৪৭ মিলিয়ন এর কাছাকাছি তুলতে পেরেছে এই সিনেমা।
মার্ভেল স্টুডিও প্রযোজিত এমসিইউ একটি সংযুক্ত দুনিয়া। বিভিন্ন সিনেমার একে অপরের সাথে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম সংযোগ বজায় রাখার জন্য মার্ভেলের বেশ সুনাম রয়েছে। এই সিরিজটি সর্বকালের সর্বোচ্চ-আয়কারী চলচ্চিত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি, যা বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ২৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে।
২০০৮ সাল থেকে এখনো অবধি মুক্তি পাওয়া ৩২ টি সিনেমার মধ্যে “দ্য ইনক্রিডেবল হাল্ক” ছিল প্রথম সপ্তাহে সবচেয়ে কম আয়কারী সিনেমা। এখন তার রেকর্ড ভাঙ্গলো “দ্য মার্ভেলস”। এখানে ক্যাপ্টেন মার্ভেল (ক্যারোল ড্যানভার্স), মিস মার্ভেল (কামালা খান), মনিকা ফোটন র্যাম্বিউ এই তিন সুপার হিরোইনকে প্রথমবার একসাথে দেখা গিয়েছে।
খুব সাধারণ কাহিনীর ওপর ভিত্তি গড়ায় হতাশ হয়েছে দর্শক। কম আয়ের ব্যাপারে প্রধান অভিনেত্রী ব্রি লার্সন “টুনাইট শো” তে জানান, অভিনেতাদের চলমান আন্দোলনের কারণে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা প্রচারণা করতে পারেনি। এ কারণে সিনেমা ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
সিনেমা ব্যবসাসফল হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও নেটিজেনরা বলছে-প্রাথমিক পর্যালোচনায় যতটা বাজে বলা হয়েছিল সিনেমা ততটা খারাপও নয়। অধিকাংশ দর্শক সিনেমাটিকে “মোটামুটি” পর্যায়ে ফেলছে। কিছুটা এমনই চিত্র ছিল অনলাইন রেটিংয়ে।
জনপ্রিয় মুভি রিভিউ ওয়েবসাইট ‘রটেন টম্যাটো’ তে ৬২ শতাংশ সমালোচক এবং ৮৫ শতাংশ দর্শকদের ভোট পেয়েছে দ্য মার্ভেলস। এছাড়া আইএমডিবিতে ১০ এর মধ্যে ৬.১ রেটিং অর্জন করেছে। সবচেয়ে বেশি প্রশংসা কুড়িয়েছে সিনেমার “এন্ড ক্রেডিট সিনের জন্য”।
ফেজ ৪, ৫ ও ৬ এর নাম মাল্টিভার্স সাগা। মার্ভেল কমিকের চরিত্র দ্বারা তৈরি ফক্স ইউনিভার্সের “এক্সম্যেন” এর মিউটেন্ট চরিত্রের আগমন দর্শকদের উৎসাহিত করেছে। এরই সাথে মাল্টিভার্সের কাহিনীতে ভবিষ্যতের সিনেমাগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়েছে এই সিনেমার শেষে। এছাড়া সূত্রপাত হয়েছে নতুন সুপারহিরোর দল “ইয়ং অ্যাভেঞ্জার্স” এর। তাই দর্শকরা ভবিষ্যতের মার্ভেল সিনেমাগুলোর জন্য বেশ উৎসাহিত।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: