[email protected] মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আমার বিউটি সিক্রেট এখানে ঢেলে দিয়েছি

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৪ নভেম্বার ২০২৩, ২০:২৭

ফাইল ছবি

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়া। দীর্ঘদিনের অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরে এবার উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা শুরু করেছেন। ‘গ্ল্যামার পার্ক স্যালন’ নামের বিউটি স্যালনের ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি। অভিনেত্রীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

উদ্যোক্তা পরিচয় তৈরির পরিকল্পনা কি হুট করেই?

না না। দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা আমার। এ ব্যাপারে আমার নারী পুরুষ উভয় সহকর্মীরাই ব্যাপক উৎসাহ দিয়েছে। তারা আমাকে দেখলেই বলে, ‘তোমার স্কিন হেয়ার সব এতো ভালো কিভাবে রাখ?’ যেখানে যাই প্রশংসা পাই। তাই অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম, সবাই যেহেতু আমার স্কিন কিংবা চুল পছন্দ করে, তাহলে আমার বিউটি সিক্রেট সবার সঙ্গে শেয়ার করতেই পারি। এতে অনেকের হয়ত উপকার হবে। সেই ভাবনা থেকেই বিউটি স্যালন দিয়েছি। ‘গ্ল্যামার পার্ক স্যালন’ প্রতিষ্ঠানটি মিরপুরের রূপায়ন ড. লতিফা শামসুদ্দিন স্কয়ারের ৯ তলায় অবস্থিত। ছেলে-মেয়ে সবার রূপচর্চার সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। আপাতত আমার সাধ্যমতো মাঝারি পরিসরে শুরু করেছি। গ্রাহকের ফিডব্যাক ভালো পেলে এটিকে আরও বড় পরিসরে করার ইচ্ছা রয়েছে।

আপনার স্যালনে কি কি থাকছে?

নারী-পুরুষ উভয়ের বিউটিফিকেশনের সকল ধরনের সার্ভিস আমরা দিচ্ছি। ফেসিয়াল, বডি ম্যাসাজ, মেকাপ থেকে শুরু করে হেয়ার কাট, হেয়ার কালার সবই থাকছে। এমনকি একটি কসমেটিকস কর্নারও করেছি। যেখানে আমি শুধুমাত্র যে সব প্রোডাক্ট আমার চুল বা ত্বকে ব্যবহার করি, সেগুলোই থাকবে। এক কথায় বলতে গেলে, আমার বিউটি সিক্রেট এখানে ঢেলে দিয়েছি।

এ ধরনের উদ্যোগের জন্য নিজেকে কতোটা প্রস্তুত করে নিয়েছেন?

এটা সত্যি যে এখন খুবই প্রতিযোগিতার বাজার। কিন্তু আমি প্রতিযোগিতা করতে নামিনি। যারা বড় পারিসরে পার্লার ব্যবসা করছেন তারা খুব সুন্দর করে কাজ করছেন। আমি আমার মতো কাজ করব। মিরপুরে আমার অনেক সহকর্মী, বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন থাকেন। তারা ওয়ারিতে আমার মায়ের পার্লারে আসতে পারেন না। তাদের কথা চিন্তা করেই মিরপুরে পার্লারটি করেছি।

আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন যে আমি রূপ চর্চার জন্য পার্লারে খুবই কম যাই। আমার রূপ চর্চার পুরোটা আমার মায়ের দায়িত্বে ছিল, এখনো আছে। আমি স্কিন কিংবা চুলে সব সময় ন্যাচারাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করি। আর যে প্রোডাক্টগুলো বাইরে থেকে না কিনলে হবেই না, সেগুলোও আমি খুব বুঝে শুনে ভালো ব্র্যান্ডের থেকে কিনি। তবে আমি এখনো পর্যন্ত কোন বিউটিফিকেশন কোর্স করিনি। কারণ সেবাগুলো তো আমি দেব না। আমার ইমপ্লয়িরা সবাই যথেষ্ট অভিজ্ঞ তাদের কাজে। সবাই এসে সেবা গ্রহণের পর বুঝতে পারবেন। সবার মতামতও জানতে চাই।

গতকাল পার্লারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কেমন হলো?

আমি আসলে দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য একটি ছোট ওপেনিং প্রোগ্রাম করেছি। কিন্তু সামনে আরও বড় পরিসরে করব। গতকাল আমার খুবই কাছের কয়েকজন তারকা বন্ধু বান্ধব এসেছিলো।

অভিনয়শিল্পীদের চাহিদা আজীবন একরকম থাকে না। সেই কথা বিবেচনা করেই কি নিজের পার্লারটি দাঁড় করাচ্ছেন?

একদম তা না। এটা আমি আরও আগে করতে চেয়েছিলাম। এর আগেও তো আমি রেস্টুরেস্ট ব্যবসা শুরু করেছিলাম। কারণ আমি ছোটবেলা থেকেই নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চেয়েছি। যাতে কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারি। অর্থাৎ আমার শোবিজ থেকে সরে আসার কোন কারণ নেই। আর আপনি যে বিষয়টি তুলেছেন, সেটি নিয়ে বলব- পৃথিবীতে সকল দেশে সকল পেশাতেই অনিশ্চয়তা আছে। হতে পারে কম বা বেশি। তাই আমি মনে করি একটা জিনিসের ওপর কখনোই নির্ভর করা উচিত না। আর অভিনয়ের পেশায় অনিশ্চয়তার বিষয়ে যদি আসি, তাহলে বলব- আমি নিজেকে নায়িকা মনে করি না। ফলে আমার নির্দিষ্ট বয়সের পর হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমি অভিনেত্রী, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজটি করে যেতে চাই। আর কেউ এভাবে ভাবলে তার কাজের সুযোগ হারিয়ে যায় না। আমাদের দিলারা জামান, ডলি জহুররা কি এখনো কাজ করছেন না? সূত্র: বার্তা২৪

 

বাংলা গেজেট/এমএএইচ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর