[email protected] সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১

‘খুফিয়ার প্রস্তাব পেলে আমিও করতাম’

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২২ অক্টোবার ২০২৩, ১৮:৩২

ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় উপস্থাপক, মডেল ও অভিনেত্রী মাসুমা রহমান নাবিলা। মাতৃত্বকালীন বিরতি কাটিয়ে আবারও কাজে ফিরেছেন। দীর্ঘদিন পর তাকে দেখা যাবে ফ্যাশন শোর শো স্টপার হিসেবে।

দীর্ঘদিন পর র‌্যাম্পে হাঁটবেন। অনুভূতি কেমন?

খুব ভালো লাগছে। আমি তো র‌্যাম্প মডেল নই। তাই কেউ যখন সম্মান করে শো স্টপার হিসেবে র‌্যাম্পে হাটার প্রস্তাব দেন, তখন ভালো লাগে। আর আমি তো স্টেজেরই মানুষ! উপস্থাপনা করতে করতে মঞ্চ প্রাণের জায়গা হয়ে যায়। তাই র‌্যাম্প ওয়াক নিয়মিত না করলেও আমার কোন নার্ভাসনেস কাজ করে না। সর্বশেষ ২০২০ এর জানুয়ারিতে শো স্টপার হিসেবে ট্রেসেমে ফ্যাশন উইকে হেটেছিলাম। তাও তো কয়েক বছর হয়ে গেল। আর এবারের শোটির নাম ‘অও সামিট এন্ড ফ্যাশন রানওয়ে’। এটি আগামী ২৬ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে গুলশানে। দেশের ৯টি ফ্যাশন ব্র্যান্ড তাতে অংশ নিচ্ছে। আমি হাটব ‘সাইমুন আমিন ব্রাইডাল কুটর’ এর একটি বিয়ের পোশাক পরে।

মাতৃত্বকালীন বিরতির পর টুকটাক কাজ করছেন। পুরোদমে ফেরার ব্যাপারে মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়েছেন?

আমি তো মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে আরও বেশ আগে। কিন্তু তাতে তো কোন লাভ নেই! যারা কাজ করাবেন তাদেরও তো আমাকে প্রস্তাব দিতে হবে। তবে আশা করছি যে কোন একটি বড় পরিসের কাজের যুক্ত হওয়ার পর সেটা দেখে অন্যরা হয়ত আমাকে নিয়ে আবার ভাববেন। এজন্য আমি আগামী বছরের অপেক্ষায় আছি। কারণ আগামী বছর আমার একাধিক বড় কাজ মুক্তি পাবে। তবে কি কাজ আসবে সেটি এখনই বলার পর্যায়ে আসিনি। যদিও একটি কাজের শ্যুটিং শেষ করে ফেলেছি। আরেকটি আগামী বছরেই শ্যুটিং হবে। তবে এগুলো নিয়ে বলার জন্য নিষেধ রয়েছে। শুধু এটুকু বলতে পারি, কাজ দুটির একটিও টেলিভিশন নাটক নয়। অন্য মাধ্যমের জন্য কাজ দুটি করছি।

কামব্যাকের বিষয়টি কতোটা কঠিন মনে হচ্ছে?

সত্যিই বেশ কঠিন মনে হচ্ছে। কারণ শোবিজে কাজ করছি বিগত ১৭ বছর ধরে। শুরু থেকেই সবার এতো ভালোবাসা, আগ্রহ আর আস্থা নিয়ে কাজ করেছি যে কোনদিন কাজ নিয়ে ভাবতেই হয়নি। এমনকি যখন আমি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলাম, তখন কিছু মানুষ আমাকে বলেছিলেন যে বিয়ে করলে কাজ কমে যায়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে সেটি হয়নি। আমি বরং বিয়ের আরও ব্যস্ত হয়ে পড়ি কাজ নিয়ে। কিন্তু মা হওয়ার পর মানুষের মাথায় এক ধরনের কনসেপ্ট হয়তো ঢুকে যায় হয়ত। প্রযোজক, পরিচালকরা হয়ত ভাবেন, মা হওয়ার পর আমি এখনই কাজ করতে রাজী হব কি না, ঠিকমতো সময় দিতে পারব কি না ইত্যাদি।

অথবা যেহেতু মা হওয়ার জন্য একটু আড়ালে চলে যেতে হয়, তাই হয়ত আউট অব সাইড, আউট অব মাইন্ড হয়ে যেতে হয়। যারা পর্দায় আছে তাদেরকেই উনারা বার বার রিপিট করতে চান। এগুলো আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। অন্যদের ক্ষেত্রেও একই বিষয় ঘটবে সেটি বলছি না। আমি কিন্তু মাতৃত্বকে কখনোই জটিল করিনি। আমি সব সময় কাজ করতে চেয়েছি। এই যে নতুন কাজটি করেছি সেটির শ্যুটিং কিন্তু ঢাকার বাইরে গিয়েই করেছি। মেয়েকে আমার মা ও হেল্পিং হ্যান্ড যে আছে সে দেখে রেখেছে।

কাজ কম করছেন। তবে শোবিজের খোঁজ খবর কতোটা রাখা হয়?

খুব কাছের সহকর্মী বাদে অন্যদের ব্যক্তিগত বিষয়ে অতো আগ্রহ নেই আমার। তবে কে কোন ভালো কাজটি করছে সেটির খোঁজ অবশ্যই রাখি। কোন কাজের ভালো রিভিউ দেখলে সেটিও দেখি। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের প্রশংসা শুনছি। সেটিও সময় করে দেখে নেব। সম্প্রতি মিজানুর রহমান আরিয়ানের ওয়েব ফিল্ম ‘পুনর্মিলনে’ দেখলাম। সিয়াম, ফারিণসহ সবার অভিনয় ভালোলেগেছে। এরপর নেটফ্লিক্সে দেখলাম ‘খুফিয়া’। সেটিও আমার বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে বাঁধনের অভিনয় পছন্দ হয়েছে। বাঁধনকে আমি মেসেজও দিয়েছি যে, তুমি খুব সাহসী একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজটি করেছ। সে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে।

‘খুফিয়া’ নিয়ে দেশকে ছোট করার এবং সমকামী চরিত্রে বাঁধনের উপস্থিতির সমালোচনাও করেছেন কেউ কেউ। আপনি চরিত্রটির প্রস্তাব পেলে করতেন?

(একটু ভেবে) মনে হয় করতাম! কারণ ছবিটি দেখে আমার তেমন কোন খারাপ লাগা কাজ করেনি। যদি আমার কোন ডিসকমফোর্ট কাজ করেও থাকত, আমি নিশ্চয়ই বিনয়ের সঙ্গে সেগুলো ক্লিয়ার হয়ে নিয়েই কাজটি করতাম। কারণ বিশাল ভরদ্বাজের মতো নির্মাতা, টাবুর মতো সহশিল্পী, নেটফ্লিক্সের মতো প্ল্যাটফর্মে কাজটি প্রচার হচ্ছে- সব মিলিয়ে এটি দারুণ একটি সুযোগ।

 

বাংলা গেজেট/এমএএইচ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর