প্রকাশিত:
৬ অক্টোবার ২০২৩, ১৯:৫৬
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ এখন ব্যস্ত হিট ম্যাশিন কাজল আরেফিন অমির ওয়েব ফিল্ম ‘অসময়’ নিয়ে। ওয়েব প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ’তে দেখা যাবে ফিল্মটি। শুটিংয়ের ফাঁকে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি
ইউটিউব ভিউয়ের দিক দিয়ে সবচেয়ে থাকা নির্মাতা অমি। অন্যদিকে ফারিণ রিসেন্টলি যে কাজগুলো করেন সেগুলো বেশ ইন্টেলেকচুয়াল। দুজন দুই ঘরানার হওয়ায় কাজ করতে কোন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন কিনা?
একদমই না। আমি রিসেন্টলি যে কাজগুলো করেছি সেগুলোও যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যদি একেবারেই অন্যরকম কাজ হতো তাহলে তো এতো দর্শক সাড়া পেতাম না। এখনো কলকাতায় গেলে আমাকে মানুষ কারাগারের মাহা নামে ডাকে। তার মানে আমার বক্তব্য হলো, ভালো কাজ না হলে দর্শকের কাছে পৌঁছায় না। ফলে কে জনপ্রিয় ঘরানার নির্মাতা আর কে আর্ট ঘরানার নির্মাতা এটা আমি কখনোই বিবেচনা করি না।
আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দর্শক হিসেবে আমি কোন গল্পের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারছি। কতোটা দর্শকের কাছে পৌঁছতে পারছি সেটা কিন্তু সব শিল্পীর কাছেই মূখ্য বিষয়। প্রতিটি নির্মাতাও সেটাই চান। এখানে আসলে কাউকে তুলনা করা বা ছোট-বড় করার উপায় নেই। আমি নিজে গল্পটা নিয়ে কতোটা আত্মবিশ্বাসী সেটাই মূখ্য। আমি নিজে নিজের কাজ পছন্দ না করলে দর্শক কখনোই সেটি পছন্দ করবে না।
তাসনিয়া ফারিণ
কাজল অরেফিন অমির নাটকের মূল সম্পদ হলো সেন্স অব হিউমার। তিনি কমেডির মাধ্যমে বাস্তব জীবনের গল্প দারুণভাবে তুলে ধরেন। এই কাজটিও কি সেই ফর্মুলার থেকে কিছুদা আলাদা? নাকি একই?
কমেডিকে কেন যেন মানুষ ছোট করে দেখেন। কিন্তু কমেডি করা কিন্তু সহজ কাজ নয়। সবার কমিক টাইমিং বা কমিক সেন্স ভালো থাকে না। এটা একটা গিফটেড থিং। আমার কমিক সেন্স কেমন না এখনি বলতে পারছি না। কারণ ওভাবে তো কমেডি ঘরানার কাজ করা হয়নি। তবে অমি ভাইয়ের কাজ এতো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায় কারণ তিনি ব্লেসড। চমৎকারভাবে দর্শকের আবেগের সঙ্গে একাত্ব হতে পারেন। তার কমিক সেন্স খুবই ভালো। কমেডি যেহেতু অমি ভাইয়ের স্ট্রং পয়েন্ট অবিয়াসলি এ গল্পেও সেটা থাকছে। হিউমারের সাথে সাথে এমন একটা গল্প দেখা যাবে যাতে দর্শক এক সিনে হাসার পরক্ষনেই অন্য সিন নিয়ে ভাববে।
সম্প্রতি চরকিতে মুক্তি পেয়েছে আপনার অভিনীত সিনেমা ‘পুনর্মিলনি’। এর দর্শক সড়ায় কতোটা তুষ্ট?
আমি তুষ্ট। সহকর্মীরা, শুভাকাঙ্ক্ষীরা নানা মাধ্যমে তাদের ভালোলাগার কথা জানাচ্ছেন। যতো দিন যাবে কাজটি আরও বেশি মানুষের মাঝে পৌঁছবে। আসলে কাজের প্রশংসা বা সমালোচনা কোনটাই আসলে আমাকে অনেক বেশি পাক্ষপাতদুষ্ট করে না। কারণ, একটা স্ক্রিপ্ট পড়ার সময়ই আমি বুঝতে পারি কোন বিষয়গুলো মানুষের ভালোলাগবে আর কোনগুলো ভালোলাগবে না। কারণ প্রতিটি মানুষের ভালোলাগা মন্দলাগা এক নয়। এই কাজটির কথা যদি আমি আলাদাভাবে বলি, শিল্পী হিসেবে কিছু কিছু কাজ করতে হবে যা প্রচলিত ধ্যান ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করবে। এ ধরণের কাজ স্বাভাবিকভাবেই কিছু মানুষের ভালো লাগবে না। কিন্তু এটাও বিবেচনা করতে হবে সমাজে কেবল এক ধরনের মানসিকতার মানুষ বাস করে না।
‘পুনর্মিলনে’ তেমনি একটি বিষয়কে নিয়ে নির্মিত হয়েছে। তবে এখানে কোথাও আঙুল দিয়ে বলা হয়নি এই চরিত্রটি ভালো, ওই চরিত্রটি খারাপ। এই বিষয়টিই আমার খুব ভালোলেগেছে। এবং আমি জানতাম আমার চরিত্রটি দর্শকের ভালো নাও লাগতে পারে। এ জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম যে কিছু সমালোচনা আমাকে ফেস করতে হবে। এজন্য মন খারাপ হচ্ছে না।
‘পাত্রী চাই’ নামে কলকাতার দ্বিতীয় ছবি করতে যাচ্ছেন?
হ্যাঁ। ছবিটির শুটিং শুরুর কথা নভেম্বরে। এখন অনলাইনের মাধ্যমে স্ক্রিপ্ট রিডিং হচ্ছে। এটি বিপ্লব গোস্বামীর প্রথম বাংলা সিনেমা হলেও তিনি কিন্তু পরীক্ষিত। তিনি এর আগে আমির খানের ব্যানার থেকে নির্মিত হিন্দি ছবি ‘লাপাতা লেডি’র গল্পকার ছিলেন। আমি সেটার ট্রেলার দেখেছি, এমনকি ছবিটিও টরেন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে খুব প্রশংসা পেয়েছে। তার সামনের কাজগুলোও খুব ভালো হওয়ার কথা। সবমিলিয়ে আমি রাজি হয়েছি কাজটি করতে। তিনি আমার ‘কারাগার’ এবং ‘লেডিস এন্ড জেন্টলম্যান’ ওয়েব সিরিজ দুটি দেখেই তার ছবিতে কাস্টিং করার ব্যাপারে ভাবেন।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: