প্রকাশিত:
২৩ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ২০:৫২
দক্ষিণী সিনেমার অন্যতম আলোচিত ও জনপ্রিয় নায়িকা সাই পল্লবী। শেষবার তাকে দেখা গিয়েছিল ‘গার্গী’ সিনেমায়। সিনেমাটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায় দর্শকদের কাছে। তার অভিনয়ের প্রশংসা করেন সমালোচকরাও।
সাই পল্লবীর এ ছাড়াও ‘শ্যাম সিংহ রায়’ সিনেমায় নৃত্য প্রশংসিত হয়েছে। এ সিনেমার মধ্য দিয়ে তথাকথিত নায়িকার সংজ্ঞা বদলে দিয়েছেন সাই পল্লবী। বিনোদন দুনিয়ার চাকচিক্যের সঙ্গে পা না মিলিয়ে একেবারে বিপরীতে হেঁটেছেন তিনি।
সাই পল্লবীর অভিনয়ই শুধু নয়, দর্শক ভালবেসেছেন তার বাহুল্যবর্জিত সাজপোশাকও। এককথায়, নায়িকাসুলভ চেহারার চলতি ধারণা ভেঙেছেন সাই। সব কিছু দিয়েই তিনি এক স্বতন্ত্র পরিচতি তৈরি করেছেন ভক্তদের কাছে।
মাস কয়েক আগে শোনা গিয়েছিল, অভিনেত্রী নাকি অভিনয় ছাড়ছেন। এবার নতুন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তিনি নাকি চুপিসারে বিয়ে সেরেছেন। পাত্র দক্ষিণী সিনেমার খ্যাতিমান নির্মাতা। অভিনেত্রীর বিয়ের ছবিও রীতিমতো ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়।
পরিচালক রাজকুমার পেরিয়াসামির সঙ্গে নায়িকা সাই পল্লবীর ছবি রীতিমতো ভাইরাল। দুজনের গলায় ফুলের মালা। পাশপাশি দাঁড়িয়ে হাসিমুখে পোজ দিচ্ছেন তারা।
তাদের এ ছবি প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় গুঞ্জন। সাই পল্লবীর অনুরাগীদের একাংশ মনে করছে, গোপনে বিয়ে করেছেন তাদের প্রিয় নায়িকা। তবে এ ভাইরাল ছবির নেপথ্যের গল্পটা অন্যরকমের।
ছবিটি পরিচালক রাজকুমারের ‘এসকে ২১’সিনেমা নির্মাণের সময় এক পূজায় তোলা হয়েছিল। ছবিটি পরবর্তীকালে খানিক সম্পাদনা করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। চলতি বছর ৯ মে পরিচালক রাজকুমার সাই পল্লবীকে তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে সেই অনুষ্ঠানের কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছিলেন।
সেই ছবিগুলো শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন, প্রিয় সাই পল্লবী’। সেখান থেকেই এ গুঞ্জনের সূত্রপাত। এ মুহূর্তে রাজকুমারের পরিচালনায় সিনেমা করছেন পল্লবী। সেই কারণেই হয়তো এ গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।
এ গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে সাই পল্লবী ফেসবুকে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বার্তা দেন, সত্যি বলতে, আমি গুজবকে পাত্তা দিই না কিন্তু যখন এতে পরিবারের বন্ধুরা জড়িত থাকে, তখন আমাকে কথা বলতে হবে। আমার ফিল্মের পূজা অনুষ্ঠানের একটি ছবি ইচ্ছাকৃতভাবে ক্রপ করা হয়েছিল এবং পেড বট এবং ঘৃণ্য উদ্দেশ্য সহ প্রচার করা হয়েছিল।
যখন আমার কাজের ফ্রন্টে ভাগ করার জন্য আমার কাছে আনন্দদায়ক ঘোষণা থাকে, তখন এই সমস্ত বেকার কাজের জন্য ব্যাখ্যা করতে হতাশ হয়।
এভাবে অস্বস্তি সৃষ্টি করা নিতান্তই জঘন্য কাজ!
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: