প্রকাশিত:
১৩ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ০৪:০৬
প্রথমবার নির্মাতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সিনেমায় কাজ করতে যাচ্ছেন পাওলি দাম। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে তাদের সিনেমা ‘পালান’। সিনেমাটির মাধ্যমেই বহুদিনের স্বপ্ন সফল হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এই অভিনেত্রীর।
বর্তমানে পাওলি সিনেমার মানের ওপর বেশি জোর দিচ্ছেন। কিন্তু কেন? কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে আগামী পরিকল্পনা কী তা জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
‘পালান’ সিনেমার সঙ্গে মৃণাল সেন জড়িত রয়েছেন যে এই কথা সকলেরই জানা, কিন্তু কীভাবে সেটা নয়। তবে অভিনেত্রীর সঙ্গে কী ব্যক্তিগত ভাবে মৃণাল সেনের আলাপ ছিল, বা কোনও স্মৃতি আছে?
উত্তরে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘কালবেলা’ দেখে উনি আমায় ফোন করেছিলেন। আমি ফোনটা ধরতেই উনি ওপাশ থেকে বলে ওঠেন- আমি মৃণাল সেন বলছি। উনি আমায় জানিয়েছিলেন, আমার অভিনয় ভালো লেগেছে। তখনই উনি আমায় দেখা করতে বলেন একদিন।
যোগ করে পাওলি বলেন, একতিন দেখা করি, অনেক কথা হয় মৃণাল সেনের সঙ্গে। উনি তার সিনেমায় আমায় নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারপর উনি অসুস্থ থাকার আর কোনও সিনেমা পরিচালনা করেননি। তবে ‘পালান’ সিনেমার মাধ্যমে যেন তার সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছেটা কোথাও সফল হল। এখানে মৃণাল সেনও আছেন আবার কৌশিকদার সঙ্গেও আমার প্রথম কাজ এটাই।
ক্যারিয়ারে প্রায় দেড় দশকের বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছেন পাওলি, এত দেরি করে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করলেন কেন? এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, সবুরে আসলে মেওয়া ফলে। উনি খুব ভালো করে জানেন কাকে কোন চরিত্রে নিতে হবে, কে কোন চরিত্রে ভালো অভিনয় করতে পারবেন। সেখান থেকেই হয়তো উনি আমায় এই সিনেমার জন্য ভেবেছেন।
বর্তমানে বাংলা সিনেমায় কম কাজ করছেন পাওলি। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, করোনার পর বাংলা সিনেমার যে কাঠামো ছিল সেটায় বিস্তর পরিবর্তন এসেছে। আমিও আর এক ধরনের চরিত্র করতে চাই না। পরিচালক কে, গল্প কী, চরিত্র কী এসব ভেবে কাজ করতে রাজি হই। আমি সংখ্যার তুলনায় এখন সিনেমার গুণগত মান আমার কাছে বেশি জরুরি। ভালো কাজ পেলে হিন্দি, বাংলা কেন দেশের যে কোনও ভাষাতেই কাজ করতে আগ্রহী।
প্রসঙ্গত, ‘পালান’-এ পাওলি দাম ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন অঞ্জন দত্ত, মমতা শঙ্কর, যীশু সেনগুপ্ত। রমাপদ চৌধুরীর উপন্যাস অবলম্বনে মৃণাল সেন পরিচালিত ‘খারিজ’ চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট উঠে আসবে সিনেমাটিতে। মৃণাল সেনের শতবর্ষে শ্রদ্ধা জানিয়ে তৈরি করা হয়েছে এটি। এর সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন নীল দত্ত।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: