[email protected] সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১

প্রেম করে বিয়ে, নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যা

মুন্সীগঞ্জ

প্রকাশিত:
২৭ আগষ্ট ২০২৩, ১৭:২০

ছবি: ফেরদৌস ছোয়া মনি

জান্নাতুল ফেরদৌস ছোয়া মনি (১৮)। প্রেম করেছিলেন নিজ গ্রামের মুন্নাকে। পরিবারের অসম্মতি থাকায় গত পহেলা আগস্ট মনি সবকিছু ছেড়ে ভালবাসার মানুষের হাত ধরে বিদায় দিয়েছিলেন আপনজনকে। ভেবেছিল ভালোবাসার মানুষ তাকে সুখে রাখবে। কিন্তু মনির বিশ্বাস ভুল হলো, বিয়ের ২৬ দিনের মাথায় প্রেমিকের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তাকে বেছে নিতে হলো মৃত্যুর পথ।

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে কলমা ইউনিয়নের মধ্যকলমা গ্রামে শনিবার (২৬ আগস্ট) রাতে স্বামীর বসতবাড়ি থেকে মনির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে লৌহজং থানায় নিহতের ভাই মারুফ খান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মরদেহটি রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, পহেলা আগস্ট কলমার ডঙ্গুরকান্দি গ্রামের রতন খানের কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস ছোয়া মনি (১৮) একই গ্রামের মনির শেখের পুত্র মুন্নার (২৩) সঙ্গে পালিয়ে বিবাহ করে। পালিয়ে বিবাহের ২৬ দিনের মাথায় যৌতুক চেয়ে নির্যাতন করে স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা। এক পর্যায়ে গৃহবধূ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

নিহত গৃহবধূর ভাই মারুফ খান জানান, পালিয়ে যাওয়ার কারণে রাগ অভিমান করে আমরা বোনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই। বিয়ের পর থেকেই লোকমুখে জানতে পারি যৌতুকের জন্য আমার বোনকে নির্যাতন করা হচ্ছে। আজকে দুপুর ১টার দিকে আমার বোন বাবাকে ফোন দিয়েছিলো। কিন্তু বাবা কাজের ব্যস্ততার কারণে ফোন ধরতে পারে নাই। পরে বিকেল ৩ টার দিকে আমাদের কাছে খবর আসে আমার বোন আত্মহত্যা করেছে। আমার বোনকে যৌতুকের নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।

লৌহজং থানা পুলিশের ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, নিহত গৃহবধূর ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করছেন। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সে সাথে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। সূত্র: দেশ রূপান্তর

বাংলা গেজেট/বিএম


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর