প্রকাশিত:
২১ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:৪০
নাটোরে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে অটোরিকশায় শুইয়ে পিঠের ওপর জুতা পায়ে চেপে ধরে শহর ঘোরানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনা শুরু হয়।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে প্রকাশ্যে নাটোর শহরের কানাইখালি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ কর্মীর নাম ফয়সাল হোসেন কদর (২৫)। তার বাড়ি শহরের কানাইখালী মহল্লায়। তিনি ছাত্রলীগের কর্মী। নির্যাতন করা তরুণরা ছাত্রদলের নেতাকর্মী।
ভিডিওতে দেখা যায়, এক তরুণের পিঠের ওপর জুতা পায়ে চেপে ধরে আছেন আরেক তরুণ। সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন উচ্চ স্বরে গান বাজাচ্ছেন। পায়ের নিচে থাকা তরুণ চিৎকার করে ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানাচ্ছেন। কিন্তু উন্মাদনায় মেতে থাকা তরুণরা তাতে সাড়া দিচ্ছেন না। এভাবে শহরের প্রধান সড়কে প্রায় দুই কিলোমিটার ওই তরুণকে ঘোরানো হয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সাল হোসেন কদর বলেন, “আমি ফায়ার সার্ভিসের মোড় থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। পেছন থেকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে নাটোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি নাঈম ও সাধারণ সম্পাদক রিমন। তারা সবাই নবাব সিরাজ-উদ-দ্দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জুবায়েরের সঙ্গে রাজনীতি করে।”
তিনি বলেন, “ আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমাকে অটোরিকশায় তুলে বারবার মারছিল। আমাকে তারা পায়ের নিচে ফেলে পুরা শহর ঘুরায়। আমি বারবার বলছিলাম আমার অপরাধ কী? তারা বলছিল, তুই ছাত্রলীগ করিস এটাই তোর অপরাধ। পরে লিখিত মুচলেকা নিয়ে আমার বাবা-মার কাছে তুলে দেয় তারা।”
ঘটনার পর ছাত্রদল নেতা নাঈম ও রিমন গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নবাব সিরাজ-উদ-দ্দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এসএম জুবায়ের বলেন, “ছাত্রদলের কিছু কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থী তাকে মারধর করছিল। আমি তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে তুলে দেই। বিষয়টি মোটেও ভালো হয়নি।”
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুর রহমান বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে এখনও আমি জানি না। কেউ অভিযোগও দেননি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মন্তব্য করুন: