প্রকাশিত:
১৬ জুলাই ২০২৪, ২২:০১
উন্নয়ন, অগ্রগতি ও পরমতসহিষ্ণু রাজনীতির অগ্রনায়ক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, কিংবদন্তী রাজনৈতিক, বাংলাদেশ ৯ বছরের সাবেক সফল রাষ্ট্রনায়ক জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রায়পুরা উপজেলার সকল মসজিদ, মাদ্রাসায় সম্মানিত আলেম সমাজের নিকট বিশেষভাবে কুরআন তিলাওয়াত, মিলাদ মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজপথ কাঁপানো তরুণ মুখ, নতুন প্রজন্মের অহংকার, প্রেসিডেন্ট হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের হাতে গড়া ডাইনামিক রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টির কান্ডারী সবুজপল্লীর রাখালি বালক তৃণমূলের নেতৃত্ব থেকে গড়ে ওঠা পল্লীবন্ধু হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের সৈনিক কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও উপজেলা শাখার সভাপতি প্রকৌশলী মো: শহীদুল ইসলাম।
আজ শুক্রবার (১৪ জুলাই) রায়পুরা উপজেলার পৌর এলাকার শ্রীরামপুর সিরাজনগর হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গণে পল্লীবন্ধুর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে আলোচনা সভা ও বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
রায়পুরা উপজেলা জাতীয় পার্টি (জাপার) উদ্যোগে রবিবার শ্রীরামপুর সিরাজনগর হাফিজিয়া মাদ্রাসা জামে মসজিদে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে আছর নামাজের পর মসজিদের ইমাম মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও মোনাজাত করে।
কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও উপজেলা শাখার সভাপতি প্রকৌশলী মোঃশহীদুল ইসলাম পল্লীবন্ধুর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে মিলাদ মাহ্ফিল অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি বলেন, পল্লীর সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান এরশাদ। পল্লী মানে বস্তি,অজপাড়া গ্রাও।যেখানে হতদরিদ্র, অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত জনগণের আবাসস্থল। যেখানে নেই কোন উন্নয়নের ছোয়া। অন্ধকার দূর করার জন্য নেই কোন বিজলী বাতি, শিক্ষার জন্য নেই কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়,আছে শুধু অভাবের কারণে কষ্ট আর দূর্ভোগ।স্বাস্থ্য সেবার জন্য নেই,কোন দাতব্য চিকিৎসালয়। এমনই বসবাসের জায়গায় যার বিচরণ,যার কর্মকান্ড যার সর্বদা।যাকে আমরা দেখেছি বন্যা এলাকায় এক হাটু পানিতে নেমে নির্যাযিত নিপীড়িত মানুষের কষ্ট দূর্ভোগ দূরীকরণের চেষ্টায় নিবেদিত প্রাণপনে চেষ্টা চালিয়েছেন। যিনি জনগনের জীবন ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রচেষ্টায় মত্ত ছিলেন এবং যার জীবন কেটেছে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার সুপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি তিনি বিচার ব্যবস্থাকে পল্লীতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন কিন্তু সেই মহান মহৎ উদ্যোগের অস্তিত্ব বিলীন করা হয়েছে। মানুষ এখন বিচারহীনতায় হয়রানী হচ্ছে। তিনি আর অন্য কেউ নয়, তিনি চাকুরী জীবনে সেনাবাহিনীতে সর্বশেষ সেনা প্রধানের দায়িত্বে থেকে জনগণের সেবক হিসাবে অবসর গ্রহণ করেছেন এবং দেশমাতৃকার দায়িত্ব নিয়েছিলেন রাজনৈতিক পদবী নিয়ে দেশের ৯ বছর প্রেসিডেন্ট পদমর্যাদায় থেকে নিরলস সেবা দান করেছেন।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে ১৪ই জুলাই জনগণের অপরিসীম সম্মান নিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তিনি দেশ, জাতি তথা বিশ্ববাসীর কাছে কিংবদন্তীর রাজনীতিবিদ মর্যাদায় চির স্মরনীয় ও অমর হয়েছেন। তাঁর রাজনীতির মূল আর্দশ ছিল কৃষক, শ্রমিক,মজদুর ও মেহনতি মানুষের জীবন ব্যবস্থার মান উন্নয়ন।তিনি দলের মার্কাটিও নিয়েছিলেন মেহনতি মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার লাঙ্গল। তিনি লাঙ্গলের মধ্যেই মেহনতি মানুষের মঙ্গল খোঁজে পেয়েছেন। আমাদের বাংলাদেশ এই লাঙ্গলের ব্যবহারের প্রভাবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।দেশে পদ্ম নদীতে বৃহৎ সেতু নির্মাণ হয়েছে এই লাঙ্গলের বদৌলতেই।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন রায়পুরা উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃসামসুজ্জামান ভুঁইয়া (জামান),সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃগোলাপ মিয়া,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন টেলু,সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম (বাদল)মোঃ মোশারফ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মানিক মিয়া,সদস্য হাবিবুর রহমান, মরজাল ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মানিক,সাধারণ সম্পাদক মোঃবিল্লাল হোসেন, মহেশপুর ইউনিয়ন সভাপতি নাজির উদ্দিনসহ অন্যান্য ইউনিয়নের সকল নেতৃবৃন্দগণ।
মন্তব্য করুন: