[email protected] রবিবার, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সিলেটে উজানে পানি কমলেও ডুবছে ভাটি

মর্নিং টাইমস ডেস্ক

প্রকাশিত:
১ জুন ২০২৪, ১৬:১৯

ছবি : সংগৃহীত

সিলেটে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় নদনদীর পানি কিছুটা কমেছে। তবে প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে উজান থেকে ভাটির দিকে পানি নামতে শুরু করায় সিলেট সিটি করপোরেশনসহ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা আরও বাড়ছে। নদনদীর পানি কিছুটা কমলেও সুরমা-কুশিয়ারার অন্তত ১৫টি স্থানে নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। যার কারণে নদী তীরবর্তী পরিবারগুলো এখনো আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে পারছে না।

শনিবার (১ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর পানি আজ সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে ৭ সেন্টমিটার ও ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার এই নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ও ছাতক পয়েন্টে ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

অন্যদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯৪ সেন্টিমিটার ও শেওলা পয়েন্টে ৯ সেন্টিমটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার এই নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০৭ সেন্টিমিটার ও শেওলা পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কুশিয়ারার পানি গতকালের তুলনায় আজ অনেকটা কমেছে। অন্যদিকে নদনদীতে পানি কমলেও সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকাসহ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট সিটি করপোরেশনের ৯টি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও জেলার কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।

সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বন্যায় সিলেট সিটি করপোরেশনের ৯টি ওয়ার্ড পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও জেলার ১৩টি উপজেলার ৬৮ ইউনিয়নের ৭৮১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৬ লাখেরও বেশি মানুষ। বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে ৫৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে তিন হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, উজান থেকে ভাটির দিকে পানি নামতে শুরু করায় সিলেট সিটি করপোরেশন, সদর, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দি পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরের কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়নভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর