[email protected] রবিবার, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মোংলার ওসি আজিজুল ইসলামকে অপসারণের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন

মর্নিং টাইমস

প্রকাশিত:
২৪ মে ২০২৪, ২১:৩৫

ছবি : সংগৃহীত

বাগেরহাটে ধর্ষন চেষ্টা, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা রেকর্ডভুক্ত না করে উল্টো ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগ তুলে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)’র অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মে) সকালে ভুক্তভোগী মোংলা উপজেলাবাসির ব্যানারে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। এসময় ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তার, নাসিমা বেগমসহ অন্যরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানান, ন্যায় বিচারের জন্য মানুষ পুলিশের কাছে যায়। কিন্তু ধর্ষন চেষ্টা, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা না নিয়ে মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম দুর্বৃত্তদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

গত ০৯ মার্চ, ২০২৪ বাড়িতে কেউ না থাকায় পার্শ্ববর্তী মোঃ জলিল মাতুব্বর (৪৫) ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে আমার শরীরের গোপন স্থানে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে। আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় জলিল মাতুব্বর। ঘটনার আধা ঘন্টা পরেই জলিল মাতুব্বরের ছেলে আমির মাতুব্বরসহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসী সংঘবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িতে বে-আইনি ভাবে প্রবেশ করে। তারা ঘরের চালসহ ঘরের ভিতরের মালামাল ভাংচুর করে, আমির মাতুব্বর ও তার সঙ্গীয়রা। তারা আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

এরপর পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে মোংলা থানার এ্সআই রমজানসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমাকে উদ্ধার করে। পুলিশ ও স্থানীয়রা আমাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মোংলা ২৫০ বেড শয্যা হাসপাতালে প্রেরন করে। সেদিনই ধর্ষন চেষ্টা ও হামলার মামলা নিয়ে মোংলা থানায় যায় আমার পরিবারের সদস্যরা। তবে মামলা না নিয়ে থানা থেকে বের করে দেন মোংলা থানার (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম। পরে একাধিকবার মামলার জন্য মোংলা থানায় গেলেও (ওসি) বিষয়টি আমলে নেয়নি।

এমতাবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার মহোদয়ের শরনাপর্ণ হই। ইহাতে মোংলা থানার (ওসি) ক্ষিপ্ত হয় এবং আমাকে বলে 'তুই কতো মামলা খেতে পারিস, আমি ডোজে ডোজে তোকে দিব।' পরে ৩১ মার্চ খুলনা সিটি মেয়রের লিখিত সুপারিশ নিয়ে গেলে অভিযোগ রাখে পুলিশ। তার পরে দেড় মাস অতিক্রম হলেও মামলাটি নথিভুক্ত করেনি পুলিশ। এখন আমাদের মামলা না নিয়ে মোংলা থানার (ওসি) আজিজুল ইসলামের হস্তক্ষেপে আমি ও আমার স্বামী মিজানুর রহমান, বোন পারভিন বেগম, ভগ্নিপতি কাওসার আকন, খালাতো ভাই শিমুল ও পারভেজকে জড়িয়ে আদালতে মানব পাচারসহ ৪টি মিথ্যা দায়ের করেন। আমরা বাড়িতে যেতে পারি না অত্যন্ত অসহায় জীবনযাপন করছি।

এই (ওসি) আজিজের অত্যাচার ও মামলার ভয়ে ২১টি পরিবার বাড়িতে ঠিক ভাবে বসবাস করতে পারছেনা। সে যদি আমাদের মোংলায় থাকে তাহলে আমাদের ২১টি পরিবার মাটির সাথে মিশে যাবে। তারা মোংলা থানার (ওসি) কেএম আজিুল ইসলামের দ্রুত অপসারন দাবি করেন।

এছাড়া মোংলা থানার (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম নানা অনিয়ম, দূর্নীতির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর