প্রকাশিত:
১৯ মে ২০২৪, ১৫:৩৭
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় রান্না ঘরের চুলা থেকে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় ২০টি কৃষক পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) বিকেলে উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের আছানপুর গ্রামের কবির মিয়ার রান্না ঘরের চুলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ক্ষতিগ্রস্তরা।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- আল আমিন, মাসুক মিয়া, সেজুল মিয়া, সাচ্চু মিয়া, হুমায়ুন কবির, সদরুল আমিন, বাবিল মিয়া, কবির মিয়া, জহুর আলম, আলী হায়দার, ইসপা মিয়া, বাচ্চু মিয়া, ইউনুছ আলী, সুলতান মিয়া, সোয়েব আলম, মনির মিয়া, আবুল কাহার, আলম মিয়া, মতি মিয়া।
গ্রামবাসীরা জানান, বিকেলে কবির মিয়ার রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। গ্রামের ঘরগুলো পাশাপাশি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন দেখে আছানপুর, পাশের মাহমুদপুর, হরিনাকান্দি, হরিপুর গ্রামের লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসও এসে যোগ দেয়। তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ আহত না হলেও ক্ষতিগ্রস্তদের স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, ধান-চাল, গবাদিপশুর খড়ের গাদা পুড়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূর ও থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস।
বেহেলী ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত সামন্ত সরকার বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরপরই স্পিডবোডে ফায়ার সার্ভিসের ৯ জন সদস্য গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। ফায়ার সার্ভিস ও গ্রামবাসীরা ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। না হলে পুরো গ্রামই পুড়ে ছাই হয়ে যেতো। অন্তত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নুর বলেন, শনিবার বিকেলে আছানপুর গ্রামের একটি রান্নাঘরের চুলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন: