শোক দিবসের অনুষ্ঠানে সাঈদীর জন্য দোয়া, ইমামসহ দুইজন আটক

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার নওগাঁয় দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে মানতবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে দোয়া পাঠের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জেম হোসেন ও স্থানীয় ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।

নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান আটকের বিষয় নিশ্চিত করে জানান, শহরের নওগাঁ তাজের মোড় এলাকার শহীদ মিনারে মঙ্গলবার বিকেলে পৌরসভা আওয়ামী লীগের ব্যানারে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।

আটক মোয়াজ্জেম হোসেন নওগাঁর বায়তুল মামুর জামে মসজিদের ইমাম। তার গ্রামের বাড়ি জেলার পত্নীতলা উপজেলায়। অপরজন হাফিজুর রহমান হাফিজ। তিনি তাজের মোড় এলাকায় রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন।

স্থানীয়রা জানায়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ নিহত শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় নওগাঁ পৌরসভা আওয়ামী লীগ মঙ্গলবার দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জেম হোসেন দোয়ার একপর্যায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জন্য দোয়া চাইতে শুরু করেন।

ওই সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা নিষেধ করলেও তিনি সাঈদীর মৃত্যুতে দোয়া পাঠ চালিয়ে যান। এরপর মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জেম হোসেনকে শহীদ মিনারের পাশে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা।

ইমাম বলেন, ‘তাজের মোড়ের রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান আমাকে সাঈদীর মৃত্যুতে দোয়া পাঠের জন্য বলেছেন।’

পুলিশে খবর দিলে মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমানের নাম উঠে আসায় তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয় বলে জানায় পুলিশ।

নওগাঁ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষান বলেন, ‘এখানে কী হয়েছে তা কিছু জানা নেই।’

বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক রতন হাজি বলেন, ‘মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জেম হোসেন দুপুরে জোহরের নামাজের সময়ও সাঈদীর মৃত্যুতে দোয়া চেয়েছেন।’

ওসি ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ‘মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জেম হোসেনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমানকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’

পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

বাংলা গেজেট/এফএস