[email protected] শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

যশোর-৪ : আ.লীগ প্রার্থী এনামুল হকের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা

মর্নিং টাইমস

প্রকাশিত:
১৩ ডিসেম্বার ২০২৩, ২০:৪৯

ছবি : সংগৃহীত

যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এনামুল হকের (বাবুল) মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ঋণখেলাপির দায়ে আপিল শুনানি শেষে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করে কমিশন।

এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৪ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হকের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার এই রায়ের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন একই আসনের আরেক প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সুকৃতি কুমার মণ্ডল। সেই আপিলের শুনানির শেষে আজ তার প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

যদিও শুনানি শেষে বের হয়ে এনামুল হকের আইনজীবী হারুনুর রশিদ খান সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব। আশা করছি সেখানে আমরা ন্যায়বিচার পাব।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ৩০০ আসনে ২ হাজার ৭১৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা হয়েছিল। তাদের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতা পেয়েছিলেন ১ হাজার ৯৮৫ জন প্রার্থী। ৭৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তাদের মধ্যে থেকে ৫৬১ জন প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসিতে আপিল করেছিলেন। চতুর্থ দিনের মতো আজ নির্বাচন কমিশনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি চলছে। সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন ভবনে শুনানি শুরু হয়। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কমিশনার, সচিবসহ নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এনামুল হক বাবুল একজন ব্যবসায়ী। অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় মেসার্স রুমন ট্রেডার্স নামে তার মালিকাধীন একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ২০০১ সালের শেষের দিকে ওই প্রতিষ্ঠানে সার, সিমেন্ট, খাদ্য, পোল্ট্রি ফিড ব্যবসা পরিচালনার জন্য জনতা ব্যাংকের নওয়াপাড়া শাখা থেকে সিসি (হাইপো) ঋণ হিসেবে ২৫ লাখ টাকা ও সিসি (প্লেজ) ঋণ হিসেবে আরও ৫০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে কয়েক মেয়াদে ওই ঋণ বৃদ্ধি হতে থাকে। একপর্যায়ে ওই ঋণ এবং এলসি মিলে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ঋণের পরিমাণ হয় ৩৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

ওই ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ছিল ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর। এরপরেও ঋণ পুনঃতফসিল হয়। একপর্যায়ে ২০১২ সালের ২৯ আগস্ট থেকে ২০১৩ সালের ১৭ জুন পর্যন্ত একাধিকবার ঋণ পরিশোধের দাপ্তরিক নোটিশ নেয়। এছাড়া ২০১৩ সালের ৩ মার্চ ব্যাংকের পক্ষে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। তবে যাথাসময়ে ঋণ আদায় না হওয়ায় ২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঋণ গ্রহিতা প্রতিষ্ঠান, মালিকসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়। ওই মামলা চলাকালে আদালতের নির্দেশে দুই দফায় মর্টগেজ দেওয়া সম্পত্তির নিলামের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ওই মামলাটি বর্তমানে যশোর অর্থঋণ আদালতে চলমান আছে। যার নং (০৬/১৭)। জনতা ব্যাংক বাদী হয়ে এই মামলা দায়েরকালে পাওনা ঋণের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছিল ২১ কোটি ৭২ লাখ ৪৪ হাজার ৮ টাকা। ওই মামলার সর্বশেষ আদালতে হাজিরা ছিল গত ২০ আগস্ট। এছাড়াও আগামী হাজিরার তারিখ ০৪ জানুয়ারি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর