প্রকাশিত:
৮ আগষ্ট ২০২৩, ০৬:১১
বিচার দাবিতে মেয়ের মরদেহ নিয়ে থানায় হাজির হলেন বাবা মামুন আবদুল্লাহ। সোমবার সন্ধ্যার পর তিনি মেয়ে মাইশার (১৩) মরদেহ নিয়ে কোতোয়ালী থানায় হাজির হন।
পুলিশ মামুনের লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন। এরপরে মামুন থানা ত্যাগ করেন।
মামুন আবদুল্লাহ বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের রূপাতলী বসুন্ধরা হাউজিং এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আহত হয় তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া মাইশা। ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
মামুন আবদুল্লাহ জানান, তার বাড়ির মালিক আবুল কালামের স্ত্রী তাহারত আক্তারের একটি জুতা বৃহস্পতিবার বিকেলে তিন তলার ছাদ থেকে নিচের কার্নিশে পড়ে। ওই জুতা তোলার জন্য তিনি মাইশাকে কার্নিশে নামান।
তখন মাইশা পা পিছলে কার্নিশ থেকে নিচে পড়ে যায়। তার ডাক-চিৎকারে মামুন ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে যান।
অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় পাঠান। ঢাকা মেডিকেলের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বিকেলে মাইশা মারা যায়।
এ ঘটনায় মাইশার বাবা মামুন আবদুল্লাহ তার মেয়ের মৃত্যুর জন্য বাড়ির মালিকের স্ত্রী, বোন ও তার মাকে দায়ী করেছেন। তিনি তিনজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
কোতোয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) বিপ্লব কুমার মিস্ত্রী অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন: