[email protected] বুধবার, ২৭শে নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রাজশাহী-ঢাকা রুটে চালু হচ্ছে নতুন ট্রেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:
১৮ নভেম্বার ২০২৩, ২০:৫৬

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী-ঢাকা রুটে চালু হতে যাচ্ছে আরেকটি ট্রেন। রাজশাহী-ভাঙ্গা রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি রুট পরিবর্তন করে এ রুটে চলবে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে চলাচল শুরু করবে ট্রেনটি।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী-ঢাকা রুটে বর্তমানে ৪ ট্রেন চলাচল করে। ট্রেনগুলো হলো— বনলতা এক্সপ্রেস, সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস ও ধুমকেতু এক্সপ্রেস। এরমধ্যে প্রতিদিন রাজশাহী থেকে সকাল ৭টায় বনলতা, ৭টা ৪০ মিনিটে সিল্কসিটি, বিকেল ৪টায় পদ্মা ও রাত ১১টা ২০ মিনিটে ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আর ঢাকা থেকে সকাল ৬টায় ধুমকেতু, দুপুর দেড়টায় বনলতা, দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে সিল্কসিটি ও রাত ১১টায় পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ট্রেনগুলোর মধ্যে বনলতা প্রতি শুক্রবার ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেস প্রতি রোববার বন্ধ থাকে। আর মঙ্গলবার পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন। এছাড়া ধুমকেতু রাজশাহী থেকে বুধবার ছেড়ে যায় না এবং ঢাকা থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার চলাচল বন্ধ থাকে ট্রেনটি।

এর আগে গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেনডেন্ট মো. আব্দুল আওয়াল স্বাক্ষর করা এক প্রস্তাবনা থেকে জানা যায়, রাজশাহী থেকে চলাচল করা একটি আন্তঃনগর ট্রেন রুট বর্ধিত করে ঢাকা পর্যন্ত আনার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে খুলনা থেকে চলাচল করা একটি মেইল ট্রেনকে কমিউটার ট্রেনে মানোন্নয়ন করে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা পর্যন্ত আনার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।

পত্রে বলা হয়, রাজশাহী-ভাঙ্গা-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী মধুমতি এক্সপ্রেস (৭৫৫/৭৫৬) ট্রেনের রুট বর্ধিত করে পদ্মা সেতু দিয়ে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে এবং খুলনা-গোয়ালন্দ ঘাট-খুলনা রুটে চলাচলকারী নকশিকাঁথা মেইল (২৫/২৬) ট্রেনকে কমিউটার ট্রেনে মানোন্নয়ন করে এবং রুট পরিবর্তন ও বর্ধিত করে পদ্মা সেতু দিয়ে খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে পরিচালনা করার জন্য প্রস্তাব পেশ করা হলো।

প্রস্তাবনা অনুযায়ী, মধুমতি এক্সপ্রেস (৭৫৬) রাজশাহী থেকে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকা পৌঁছাবে দুপুর ২টায়। এবং ঢাকা থেকে দুপুর ৩টায় ছেড়ে রাজশাহী পৌঁছাবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে। যাত্রার উভয়পথে ট্রেনটি ঈশ্বরদী জংশন, পাকশী, ভেড়ামারা, মিরপুর জংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, কুমারখালী, খোকসা, পাংশা, কালুখালী, রাজবাড়ী, পাচুরিয়া জংশন, আমিরাবাদ, ফরিদপুর, তালমা পাখুরিয়া, ভাঙ্গা, ভাঙ্গা জংশন, শিবচর, পদ্মা ও মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে। তবে বর্তমানে যাত্রী ওঠা নামার সুবিধার না থাকায় আপাতত 'ভাঙ্গা জংশন' স্টেশনে যাত্রা বিরতি থাকবে না।

ট্রেনটির সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হিসেবে বৃহস্পতিবার অপরিবর্তিত থাকবে এবং ট্রেনের বিদ্যমান রেক, কম্পোজিশন, মার্শালিং ও আসন বিন্যাস আগের মতোই থাকবে।

অন্যদিকে নকশিকাঁথা মেইল (২৫/২৬) ট্রেনের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ট্রেনটি মেইল থেকে কম্পিউটার ট্রেনে উন্নীত হবে। ট্রেনটিতে যাত্রীসেবার মান উন্নয়নের মাধ্যমে কমিউটার ট্রেনে উন্নতি করার জন্য বিরতি সংখ্যা সীমিত রাখা যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে যশোর ক্যান্টনমেন্ট, মোমিনপুর, জয়রামপুর, জগতি, চড়াইকোল ও সূর্যনগর স্টেশনে যাত্রা বিরতি প্রত্যাহার করা যেতে পারে। ট্রেনটিতে যাত্রীদের আরামদায়ক ও স্বাচ্ছন্দ্য ভ্রমণের জন্য বৈদ্যুতিক বাতি ও পাখা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া ট্রেনটি কমিউটার ট্রেনে উন্নীত করে ঢাকা শহর পর্যন্ত বর্ধিত করলে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে স্বল্প ভাড়ায় অত্র এলাকার জাতীয় সাধারণ ভ্রমণ করতে পারবেন। সর্বোপরি নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে কমিউটার ট্রেনে উন্নীত করা হলে রেলওয়ে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।

নকশী কাঁথার প্রস্তাবিত সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেনটি খুলনা থেকে রাত সাড়ে ১১টায় ছেড়ে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। এবং সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে ট্রেনটি রাত ১০টা ২০ মিনিটে খুলনা পৌঁছাবে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, রাজশাহী-ঢাকা রুটে মধুমতী এক্সপ্রেস ট্রেন চলতে পারে, তবে ডিসিশন আমরা এখনো পাইনি। সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমাদের মধুমতী এক্সপ্রেস ট্রেন রাজশাহী-ঢাকা রুটে আমরা চালাবো। এখন ১ তারিখ থেকে যদি আমাদের টাইমটেবলটা চলে, তাহলে এটা চলবে। ট্রেনটি সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। আর ঢাকা থেকে রাত সাড়ে ১০টায় রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা দেবে।

 

বাংলা গেজেট/এমএএইচ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর