প্রকাশিত:
৩১ অক্টোবার ২০২৩, ২০:১৩
চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম কাজেম আলীর খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) চিকিৎসক, মেডিকেল শিক্ষার্থী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এছাড়া প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিন তারা।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে নগরীর ঘোষপাড়া মোড় এলাকায় রামেক হাসপাতালের সামনে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) রাজশাহী শাখার আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন— বিএমএ রাজশাহীর সভাপতি প্রফেসর ডা. এবি সিদ্দিকী। মানববন্ধনে বিএমএ রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. নওশাদ আলী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ রাজশাহীর সভাপতি ডা. চিন্ময় কান্তি দাস, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল প্রফেসর ডা. হাবিবুল্লাহসহ বিভিন্ন বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসকরা বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, রাজশাহী শান্তির শহর। এ শান্তির শহরে হঠাৎ কালো মেঘ দেখা দিয়েছে। ডা. কাজেমকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না।
তারা বলেন, রোগীদের কাছে অনেক জনপ্রিয় ডাক্তার ছিলেন গোলাম কাজেম আলী। তিনি সার্জিক্যাল প্রসিডিউর সহজভাবে করে সুচিকিৎসক হিসেবে সুখ্যাতি পান। উত্তর জনপদের মানুষ সেই চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত হলো।
চিকিৎসক নেতারা বলেন, ডা. কাজেম হত্যা পুরো চিকিৎসক সমাজের জন্য অশনিসংকেত। আমরা আমাদের কর্মস্থল নিরাপদ মনে করছি না। আমরা নিরাপদ কর্মসংস্থান চাই, খুনীদের ফাঁসি চাই। কাজের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কার্যকরী পদক্ষেপ চাই। আমরা প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যেই খুনীদের গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায়, ৭২ ঘণ্টা পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা হবে বলেও জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার রাজশাহী ব্রাঞ্চের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার নাজমুস সালেহীন, সিনিয়র পিআরও হুসাইন আলী, মার্কেটিংয়ের মো. আজিজ, আনসার, আরিফসহ বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার চিকিৎসক ও রাজশাহীর মেডিকেল কলেজের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন কোম্পানির কয়েকশো রিপ্রেজেন্টেটিভ অংশ নেন। তারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে চিকিৎসক কাজেম হত্যার প্রতিবাদ ও খুনীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে নগরীর বর্নালী মোড় এলাকায় চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম কাজেম আলীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পরদিন সোমবার (৩০ অক্টোবর) তার স্ত্রী ফারহানা ইয়াসমিন বাদী হয়ে আরএমপির রাজপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিন বিকেলে ডা: কাজেমকে নগরীর মহিষবাথান গোরস্থানে দাফন করা হয়।
বাংলা গেজেট/বিএম
মন্তব্য করুন: