প্রকাশিত:
৩০ অক্টোবার ২০২৩, ২০:১০
এখন আর শুধু বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করলে হবে না, সারা বছর ধরে করতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধের বার্তাগুলো গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে হবে এবং এটা প্রতিরোধে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও সচেতনতা বিষয়ক রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয় সভায় এডিস মশার ব্রিডিং প্লেসগুলো ধ্বংসের উপর গুরুত্বারোপ করে বক্তাগণ এসব কথা বলেন।
রাজশাহী জেলা তথ্য অফিস ও স্বাস্থ্যের বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয় যৌথভাবে এ সমন্বয় সভা আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, এখন রাজশাহীতে প্রতিদিন দেড়শো থেকে দুইশো জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে। ডেঙ্গুর বিশেষ কোনো চিকিৎসা নেই। হাসপাতালে যে চিকিৎসা দেয়া হয়, সেটা উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা। রোগী যে উপসর্গের কথা উল্লেখ করে, সেই চিকিৎসাই দেয়া হয়। সেজন্য আমাদের প্রতিরোধের দিকে বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে। আর প্রতিরোধের প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছেÑ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে আমাদের দ্রুত চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। সামান্য জ্বর-কাশিতে অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে এ সময় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তাদের কাছে ডেঙ্গু পরীক্ষার পর্যাপ্ত কিট রয়েছে।
ইউনিসেফ‘র সহায়তায় আয়োজিত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আনোয়ারুল কবীর। জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মোহা. ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম এবং সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক,জেলা তথ্য অফিসের সহকারী তথ্য অফিসার রেজওয়ান মোরশেদ, পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. শ্যামল কুমার রায়, রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের উপপরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: