প্রকাশিত:
১৩ আগষ্ট ২০২৩, ০৩:০১
প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বেসিক ব্যাংকের রাজশাহী আমচত্তর উপশাখার ক্যাশ কর্মকর্তা (ক্যাশিয়ার) তাসনুভা ফেরদৌস ও তার স্বামী গোলাম জাকিরের বিচার দাবি জানিয়েছে ভূক্তভোগিরা। শনিবার (১২ আগস্ট) দুপরে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় মানববন্ধন করে এ অভিযোগ তুলেন।
ভূক্তভোগিদের অভিযোগ, চেক জালিয়াতি ও জাল স্বাক্ষরসহ নানাভাবে ২৫টি পরিবারের কাছ থেকে সাড়ে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৪১ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তাসনুভা ফেরদৌস ও তার স্বামী। তাদের বাড়ি নগরীর দাসপুকুর এলাকায়।
এদের মধ্যে প্রতারণার শিকার হয়েছেন নগরীর রামচন্দ্রপুর বাসার রোড এলাকার মায়া বেগম। তাকে ধর্মে মা বানিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলে তার ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে বাধ্য করেন। পরে সেই ব্যাংকে৮৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা দিতে বলেন। তার বিভিন্ন জায়গার সম্পত্তি বিক্রি করে ব্যাংকে টাকা রাখেন। পরে তারা জালিয়াতির বিষয়টি জানতে পারলে তার কাছে গেলে ভূক্তভোগির নামেই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। আদালত তার মামলা খারিজ করে দিয়েছে। পরে আমি তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি।
একইভাবে প্রতারণা শিকার হয়েছেন হাজরাপুকুর ডাবতলা এলাকার নাহিদা নাসরিন লীনা। তার কাছ থেকে ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তাসনুভা ও তার স্বামী। তিনি বলেন, এভাবে তাদের প্রতারণার শিকার হয়ে ২৫টি পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। টাকা ফেরতসহ প্রতারক স্বামী-স্ত্রীর শাস্তির দাবি জানিয়ে লীনা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় এখন পর্যন্ত ১৩টি মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হয়ে তারা বেশ কিছুদিন কারাগারেও ছিলেন। ১১টি মামলায় তারা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। নগরীর রাজপাড়া থানার দুইটি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। কিন্তু পুলিশ রহস্যজনক কারণে তাদের গ্রেফতার করছে না। উল্টো মামলার বাদিদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
নগরীর রামচন্দ্রপুর বাসার রোড এলাকান আরেক ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম বলেন, সিসি লোন রিকভারি করার নাম করে তার কাছে ২৪ লাখ ৫০ হাজার লোন নিয়েছিলেন। কদিন পর দিয়ে দেওয়ার কথা ছিলো কিন্তু আজ কাল করে এখনো দেওয়া হয়নি।
তার মত প্রায় ২৫টি পরিবারের কাছ থেকে চেক জালিয়াতি ও জাল স্বাক্ষরসহ নানাভাবে সাড়ে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৪১ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা।
এবিষয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা (ক্যাশিয়ার) তাসনুভা ফেরদৌসের সাথে একাধিকবার কল দিলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হক বলেন, ফেরদৌস ও তার স্বামী গোলাম জাকির পালাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: