[email protected] মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কুমারী পূজায় দেবীর মন ‘তুষ্ট করে’ বিশ্বশান্তি কামনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:
২২ অক্টোবার ২০২৩, ২১:৩০

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকের বাদ্য আর শঙ্খধ্বনিতে দেশজুড়ে মন্দির-মণ্ডপে দেবীর আরাধনা ও বিশ্বশান্তি কামনার মধ্যে দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবথেকে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার মহোৎসব চলছে। আজ শারদীয় দুর্গোৎসবের মহা অষ্টমী। প্রতিবছরের মত এবারও রাজশাহী মহানগরীতে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২২ অক্টেবর) দুপুরে নগরীর ত্রিনয়নী মন্দিরে এই পূজা অর্চনা হয়। এ বছর দেবীর আসনে বসেছিল সাগরপাড়া এলাকার স্বাগত কুমার দাস ও ছন্দা সরকারের নয় বছরের মেয়ে ইন্দুপ্রভা দাস তিতলি। সে বগুড়া বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।

পূজা শুরুর আগে তাকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরিয়ে নানা অলঙ্কার ও ফুলের মালা দিয়ে নিপুণভাবে সাজিয়ে দেবীর আসনে বসানো হয়। এর আগে মন্ত্রোচ্চারণ, ফুল ও বেলপাতার আশীর্বাদ পৌঁছে দেয়া হয় ভক্তদের কাছে।

এরপর পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ভক্তদের উলুধ্বনি আর বিনম্র শ্রদ্ধায় সম্পন্ন হয় কুমারী পূজা। এর মাধ্যমে করা হয় নারীত্বের বন্দনা। পূজা শেষে সবার মঙ্গল কামনা এবং পাপমুক্তির জন্য ভক্তরা দেবীর পায়ে শ্রদ্ধা জানান ফুল এবং বেলপাতা নিবেদন করেন।

অশুভ লক্ষণের মধ্যে দিয়ে এবার দেবী দুর্গার আগমন ও প্রস্থান হলেও তাকে তুষ্ট করে বিশ্বশান্তির প্রার্থনা জানাবে হিন্দু সম্প্রদায়। ছড়িয়ে দেওয়া হবে সম্প্রীতির বার্তা। একই সঙ্গে বিশ্বশান্তি কামনা করেন।

হিন্দুধর্ম মতে, দেবী মাতৃরূপে ভক্তদের মধ্যে আর্বিভুত হন। তিনি যেমন দুষ্টের দমন করেন, তেমনি মাতৃরূপে ভক্তের পালনও করেন। সেই ধারণাকে ধারণ করে কুমারী পূজার আবির্ভাব। কুমারী পূজায় সাত থেকে নয় বছরের কুমারীকে দেবী হিসেবে কল্পনা করে পূজা করা হয়। ভক্তরা তার মাঝে খুঁজে পান দেবীরূপী মাকে। পূজা শেষে সবার মঙ্গল কামনা এবং পাপমুক্তির জন্য ভক্তরা দেবীর পায়ে শ্রদ্ধা জানান ফুল ও বেলপাতা নিবেদন করে।

বিভিন্ন মন্দিরে অঞ্জলী শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। আয়োজকরা জানান, কুমারী পূজার মাধ্যমে নারী জাতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। সাজসাজ রবে শুরু হয় কুমারী পূজার আনুষ্ঠানিকতা। ভক্তদের উলুধ্বনি আর বিনম্র শ্রদ্ধায় সুন্দরভাবে কুমারী পূজা সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে নারীত্বের বন্দনা করা হয়। পূজা শেষে সবার মঙ্গল কামনা এবং পাপমুক্তির জন্য ভক্তরা দেবীর পায়ে শ্রদ্ধা জানান ফুল এবং বেলপাতা নিবেদন করেন।

তারা জানান, পূজা শুরুর আগে ইন্দুপ্রভাকে স্নান করানো হয়। এরপর নতুন কাপড় পরিয়ে নানা অলঙ্কার ও ফুলের মালা দিয়ে নিপুণভাবে সাজিয়ে বসানো হয় দেবীর আসনে। পূজায় মন্ত্রোচ্চারণ, ফুল ও বেলপাতার আশীর্বাদ পৌঁছে দেয়া হয় ভক্তদের কাছে।

এ বছর রাজশাহীতে ৪৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে জেলায় ৩৮৯টি ও নগরে ৭৯টি মণ্ডপে এই পূজা হবে। আগের তুলনায় এবার মহানগরে দুর্গাপুজার মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে।

 

বাংলা গেজেট/এমএএইচ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর