[email protected] শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রাজশাহীর কারা একাডেমি

উদ্বোধনের আগেই দুই ত্রুটি শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:
১০ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ০২:০১

রাজশাহী কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

রাজশাহী কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি একনেকে অনুমোদন হয়েছিল ২০১৫ সালের ৯ জুন। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৩ কোটি ৪২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। পাঁচ দফা সময় বাড়ায় ব্যয়ও বেড়ে দাঁড়ায় ৯৪ কোটি টাকায়। রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-১ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

গণপূর্ত বিভাগের প্রতিবেদন মতে, প্রকল্পটি উদ্বোধনের জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। প্রায় শতভাগ কাজই সম্পন্ন হয়েছে। আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন দল নবনির্মিত কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি পরিদর্শন করে দুটি ত্রুটি চিহ্নিত করেছেন। এসব ত্রুটি দ্রুত সারাতে সুপারিশ করা হয়েছে। রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই কেন্দ্রে কারারক্ষী, প্রধান কারারক্ষী, ডেপুটি জেলার, জেলারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

গত জুলাই মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেবা সুরক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খায়রুল কবীর মেননের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের দুই সদস্যের একটি টিম কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে তারা কেন্দ্রের কয়েকটি ভবনের দেওয়াল ড্যাম হওয়া বা দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়তে দেখেছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীরের উচ্চতাও নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট নয়।

অতিরিক্ত সচিব ও পরিদর্শন দলের প্রধান খায়রুল কবীর মেনন সাংবাদিকদের বলেন, প্রকল্পে যথেষ্ট সমন্বয়ের ঘাটতি ও যথাযথ তদারকির অভাবে নবনির্মিত ভবনে এই ধরনের ত্রুটি তারা দেখতে পান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ভবনগুলো প্রায় চার বছর আগে নির্মাণ করা। দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে। তবে এগুলো বড় কোনো ত্রুটি নয়। মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ পাওয়ার পর দেওয়ালে ড্যামের বিষয়টি ইতোমধ্যে সারানো হয়েছে। তিনি বলেন, যেদিন মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন টিম আসে, সেদিন ভবনগুলোতে রঙের কাজ হচ্ছিল। রঙ কিছুটা কাঁচা থাকায়, ওই অংশকে ড্যাম মনে হয়েছে।

সীমানা প্রাচীর নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করতে সীমানা প্রাচীর আরও উঁচু করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে।

এ প্রসঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, সীমানা প্রাচীর উঁচু করার বিষয়ে যে সুপারিশ দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের টিম তা বাস্তবায়ন করা এখন আর সম্ভব নয়। কারণ এটা করা হয়েছে নকশা মোতাবেক। প্রকল্প সংশোধন হলে হয়তো সম্ভব।

কারা অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি কামাল হোসেন জানান, কারা অধিদপ্তরে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণার্থীদের কারাগারের সার্বিক নিরাপত্তা বিধান, সুশৃঙ্খল আচরণ, বন্দিদের প্রতি মানবিক আচরণ, সৌজন্যবোধ ও প্রয়োজনীয় বিধিবিধান সম্পর্কে এখানে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

গণপূর্ত বিভাগের তথ্যমতে, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ৬৬ একর জমির মধ্যে ২৪ একর জমিতে কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় তিনতলা এমআই ভবন, পুরুষ ও নারীদের জন্য প্রশিক্ষণ ব্যারাক, প্যারেড গ্রাউন্ড, কোয়ার্টার ও ৫ হাজার ৯৯২ বর্গফুটের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের সঙ্গে নতুন করে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্ল্যান্ট, এমআই ভবনে নতুন করে দুটি ফ্লোর সংযোজন, ডাইনিং কাম কিচেনসহ এসি ও লিফট রয়েছে।

 

বাংলা গেজেট/এফএস


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর