[email protected] শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

নান্দনিকতা ধরে রেখে এগিয়ে যাবার প্রত্যয় লিটনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:
৯ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ২৩:৪৬

এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন

রাজশাহী নগরীর নান্দনিকতা ধরে রেখে এগিয়ে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগর ভবনে সিটি হল সভাকক্ষে নগর এলাকার পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মেয়র।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহী মহানগরীর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য্যবর্ধন কার্যক্রমের সুনাম দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রবাসীরা এবং সারাবিশ্বে বাংলা ভাষাভাষী যারা আছেন, তাদের অনেকে তারা অবগত হয়েছেন যে, বাংলাদেশে একটি শহর আছে, সেটি অন্য শহরের চেয়ে পৃথক।

সত্যিকার অর্থে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সুবজ শহর। রাজশাহী নগরীতে যারা বেড়াতে আসেন, তারা ঘুরে দেখেন, মুগ্ধ হোন, স্বপরিবারে ছবি তোলেন। নগরবাসীর সহযোগিতায় সকলে আন্তরিক প্রচেষ্টায় রাজশাহী নান্দনিক শহরে পরিণত হয়েছে। এই সুনাম ধরে রেখে রাজশাহী নগরীকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

তিনি আরো বলেন, এই উপমহাদেশে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে মানুষের সচেতনা অনেক কম। তবে এর মধ্যে রাজশাহীকে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি যে, আমরা সচেতন হলে সব সম্ভব। এছাড়া নগরবাসীও আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম বাস্তবায়নে ব্যাপকভাবে মনিটরিং করা হয়। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের এই অর্জন। এজন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

রাসিক মেয়র বলেন, নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আরও আধুনিকায়ন করতে পৃথক ল্যান্ডফিল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নগরীতে ১৭টি এসটিএস নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে এসটিএস নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি ব্যতিত যত্রতত্র পোস্টার লাগানো আইনত অপরাধ। নতুন ভবন, দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতির পোলে আঠা দিয়ে পোস্টার লাগানোয় সৌন্দর্য্য নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা এবার অ্যাকশনে যেতে চাই। এছাড়া অনুমতিবিহীন কেউ রাস্তা বা ফুটপাতে নির্মাণ সামগ্রী রাখতে পারবেন না। নির্মাণ সামগ্রী দীর্ঘদিন রাস্তার উপরে ফেলে রেখে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাবেন, এটি আমরা বরদাশ করবো না।

নগরীতে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন, নগরীতে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রাস্তা, ড্রেন নির্মাণ, আলোকায়ন, আইল্যান্ডসহ নগরীতে ব্যাপক বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পরিচছন্নতা কার্যক্রম জোরদারসহ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে লার্ভিসাইড স্প্রে কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্টদের আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে। গার্বেজ ভ্যানগুলো ব্যাটারী চালিত করার বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।

রাসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন প্রমুখ। ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- প্রধান প্রকৌশলী নুর ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নুর-ই-সাঈদ, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকর্তা সৈয়দ মাহমুদ উল ইসলাম প্রমুখ।

সভায় বিভিন্ন ওয়ার্ডের সচিব, পরিচ্ছন্ন সুপারভাইজার, পরিবেশ শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরারা অংশ নেন।

 

বাংলা গেজেট/এফএস


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর