[email protected] শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ভূমি কর্মকর্তার সেজে দফাদারের প্রতারণা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, জয়পুরহাট

প্রকাশিত:
৯ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ০১:৫৮

দফাদার রুহুল আমিন

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আয়মা রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ভূমি কর্মকর্তার পরিচয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। প্রতারণার স্বীকার ব্যবসায়ীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছে।

উপজেলার আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের ছোট্ট মানিক গ্রামের বৈশাখী বেকারি এবং শালপাড়া বাজারের ভাইবোন কনফেকশনারি অ্যান্ড ফল ভাণ্ডার, ভিআইপি কনফেকশনারি অ্যান্ড দই মিস্টি ভাণ্ডার, ইসমাইল হোটেল অ্যান্ড রেষ্টুরেন্ট, বাবু হোটেলসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত রুহুল আমিন আয়মারসুল ইউনিয়নের কৃষ্টপুর গ্রামের মৃত সাদেক আলীর ছেলে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দফাদার মো. রুহুল আমিন হোটেল ও বেকারির মালিকদের তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ধরিয়ে দিয়ে বলেন, এসিল্যান্ড স্যার কথা বলবেন। তখন রুহুল আমিনের মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে কথা বলা ব্যক্তি নিজেকে এসিল্যান্ড পরিচয় দিয়ে বলেন, ব্যবসায়ীদের হোটেলগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ভেজাল পণ্য রাখার তালিকা আছে।

আগামীকাল বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হবে এবং সেখানে ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানা ও জেল হতে পারে। এ অবস্থায় তালিকা থেকে নাম কাটতে চাইলে এই মুহূর্তে নগদ একাউন্টে তালিকামতো নির্ধারিত টাকা পাঠাতে বলেন।

ব্যবসায়ী বজলুর রশিদ ১২ হাজার টাকা প্রদান করেন। অতিরিক্ত টাকার জন্য রুহুল আমিন মোবাইলে বার বার তাগাদা দিলে বজলুর রশিদের সন্দেহ হয়। ব্যবসায়ী বজলুর রশিদসহ অন্য ব্যবসায়ীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ঘটনার কথা বললে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে।

ইউনিয়নের দফাদার রুহুল আমিনের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

তবে সহকারী কমিশনার (ভূমি)  মারুফ আফজাল রাজন বলেন, ‘মৌখিক অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। প্রতারকের মোবাইল নম্বরটি যাচাই করার জন্য থানার ওসিকে বলা হয়েছে।’

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা সুলতানা বলেন, ‘এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি, সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী জানায়, দফাদার রুহুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন ভাবে মানুষকে হয়রানী করে আসলেও সবসময় দফাদারের পোশাক পড়ে থাকায় কেউ কিছু বলতে পারে না।

 

বাংলা গেজেট/এফএস


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর