প্রকাশিত:
১০ জুলাই ২০২৪, ২১:৪৩
বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে ২ দিনব্যাপী ‘আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় তরুণ লেখক সম্মেলন ২০২৪’ এর দ্বিতীয়দিনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় তিন শতাধিক তরুণ লেখক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১০টায় ‘লেখার মেলবন্ধনে, একত্রিত হও লেখক বন্ধু’ স্লোগানকে সামনে রেখে সংগঠনটির চবি শাখার সাধারণ গিরেন্দ্র চক্রবর্তী ও কারিশমা ইরিন সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তরুণ কলাম লেখক ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. ইত্তেখারুল ইসলাম সিফাতের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ- উপচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড.সেকান্দার চৌধুরি, চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে, অধ্যাপক ডিন,ব্যবসা প্রশাসন অনুষদ মো: হেলাল উদ্দিন নিজামী,ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী।
অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ ও প্রভোস্ট সোহরাওয়ার্দী হল, ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, ব্যুরো প্রধান, চ্যানেল আই, চট্টগ্রাম এছাড়াও প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান, কলামিস্ট ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক আবুল মনসুর, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন।
প্রধান অতিথি চবি উপচার্য অধ্যাপক ড. মো: আবু তাহের বলেন,তরুণ লেখকদের নিয়মিত লিখতে, পড়তে, অনুশীলন করতে হবে।একজন লেখকের লিখার নিজস্ব স্টাইল থাকতে হবে।গঠনমূলক সমালোচনা থাকা লাগবে।তরুণ লেখকদের লেখালিখির ১ম শর্ত হচ্ছে লেখালিখির মধ্যে নিয়মিত লেগে থাকা। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়া চীন বই এ নেলসন ম্যান্ডেলা Long Walk to Freedom বইগুলো পড়তে হবে। একজন লেখকের ইমপারসোনালিটি, নেটওয়ার্কিং উদ্ভাবন, কল্পনা অনুভূতি থাকা লাগবে। পরিশ্রম পরিশ্রম পরিশ্রম এর কোন বিকল্প নেই।
প্রধান আলোচক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান বলেন, লেখক হতে হলে জীবন থেকে শিখতে হবে এবং পারিপার্শ্বিক, পরিবেশের কি সমস্যা দেখতে হবে। একদিনে লেখক হওয়া যায় না।
লেখক হতে হলে নিয়মিত লিখতে হবে।ভালো লেখক হতে হলে বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে হবে। ভালো লেখকরা ধৈর্য্যশীল হয়। লেখার জন্য আকাঙ্ক্ষা, অনুপ্রেরণা দরকার।এমন লেখা লিখতে হবে যেটা মনকে ছুয়ে যাবে।লেখকদের জীবনী পড়তে হবে। তাদের জীবন থেকে শিখতে হবে।নিজের লিখার শৈলী নিজে তৈরী করতে হবে। নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে হবে।অনলাইন লেখালেখি গ্রুপে যোগ দিতে হবে।বাংলাদেশর বড় লেখক হতে হলে কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ এর লেখা পড়তে হবে।রবীন্দ্রনাথ বলেছেন শিক্ষা ও জীবন আলাদা হতে পারে না। একটা আরেকটার পরিপূরক।
বিশেষ অতিথি উপ- উপচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী বলেন, আপনি যা লিখবেন সেটার উদ্দেশ্য হবে মানুষের মুক্তির জন্য। তরুণ লেখকদের চিন্তা, বুদ্ধি, জ্ঞান এর সীমাকে প্রসারিত করতে হবে।লিখবেন জানবেন, লিখাকে প্রসারিত করবেন। তরুণ লেখকদের পৃথিবীর জন্য, মানবতার জন্য কাজ করতে হবে।
প্যানেল আলোচক সাংবাদিক আবুল মনসুর বলেন, এই সমাজে যুদ্ধ করতে হলে স্বাধীনভাবে কোন একটি পেশায় আসতে হবে। প্রত্যেক মানুষের মধ্যে কোন না কোন প্রতিভা আছে। সততা একটি মহৎ গুণ। সর্ব অবস্থায় সততাকে ধরে রাখতে হবে। যে সাংবাদিকতা করতে চায় তার উচিত সাংবাদিকদের করা রিপোর্টগুলো পড়া। যে উপন্যাস, নাকট,, কলাম লিখতে চায় তার সেই কেন্দ্রিক বই পড়া প্রয়োজন। তাহলে লক্ষে পৌছানে সম্ভব হবে।
চবির ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কেউ যদি স্বাধীন পেশায় আসতে চায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হবে। যারা লিখালিখির সাথে সম্পৃক্ত তাদের দ্বারা দূর্নীতি, রাষ্ট্রবিরোধী কর্ম কান্ড কোন কিছু সাথে জড়িত আছে এমন পাওয়া যা না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে একজন শিক্ষার্থীর মূল কাজ হলো সমাজের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরা। আর এর জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম হলো বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম সংগঠন।
মন্তব্য করুন: