প্রকাশিত:
১০ জুন ২০২৪, ১৫:৩৮
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) হলের রিডিং রুমের বারান্দায় আত্মহত্যা করেছেন শেফা নুর ইবাদী নামে এক শিক্ষার্থী। সোমবার (১০ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আবদুল কাইয়ুম।
জানা যায়, রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে এ ঘটনা ঘটে। আত্মহননের শিকার শিক্ষার্থী শেফা নুর ইবাদীর বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। তিনি বঙ্গমাতা হলের ১৪১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তিনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন এবং একটি গণমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. মো. আবদুল কাইয়ুম বলেন, আত্মহত্যার শিকার শিক্ষার্থীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনা শোনার পর আমি, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, হল প্রভোস্ট ও শিক্ষকরা মেডিকেলে ছুটে এসেছি। এ ধরনের ঘটনা আসলেই মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক। তবে তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ দিকে নিহতের সহপাঠী সূত্রে জানা যায়, প্রেম ঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করেছেন শেফা, এমন খবর যেসব গণমাধ্যম প্রচার করছেন তার কোনো সত্যতা নেই। তবে এটা সত্য যে প্রেমিকের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছিল তার। হয়তো এজন্যই আত্মহত্যা করেছেন। এর আগে রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোটা বাতিলের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন শেফা। ‘বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল চাই! মেধা ভিত্তিক নিয়োগ চাই!’ ব্যানার নিয়ে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ওসি এ আর মুকুল বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। মেয়েটি কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলো বা ঘটনার পেছনে অন্য কিছু আছে কি না সে বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
মন্তব্য করুন: