প্রকাশিত:
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:২১
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী সালমান আজাদী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। সালমান আজাদীর পিতার নাম মৃত কুরবান আলী।
বৃহস্পতিবার ( ২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল বাজারের সাইফুল কমিশনারের বাসার সামনে এ দূর্ঘটনা ঘটে। ময়মনসিংহের ত্রিশালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শেরপুরগামী সোনার ময়না পরিবহনের বাস ইউটার্ণ নেয়ার সময় সিএনজির সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে শিশু সহ নিহত হয় তিনজন। আহত হয়েছে আরও তিনজন। হতাহতরা সবাই সিএনজির যাত্রী।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সালমান আজাদী(২৫) ছাড়াও ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের রুদ্রগ্রাম এলাকার এনামূল হক শামীমের মেয়ে রুবাইরা তাজনিম(২), সিএনজি অটোরিকশার চালক উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিকনা মনোহর গ্রামের মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে শরিফুল ইসলাম(৩৩) নিহত হন।
ত্রিশাল থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাসটি ইউটার্ণ নেয়ার সময় ময়মনসিংহ থেকে ত্রিশালগামী যাত্রীবাহী সিএনজি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সাথে সংঘর্ষ ঘটলে ঘটনাস্থলেই এক শিশুর মৃত্যু হয় এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।
ত্রিশাল থানার তদন্ত ওসি চাঁদ মিয়া বলেন, 'আজ সকাল সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। এক শিশুকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন এবং গুরুতর আহত আরও দুইজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায়। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ঘাতক বাসকে আটক করা গেলেও চালক পলাতক রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।'
সালমান আজাদীর বন্ধু ডিএইচ রনি আবেগাপ্লুত হয়ে লিখেছেন, "খুব বেশি তাড়া ছিলো তোমার? রেগুলার ই তো তোমার সাথে কথা হতো। কতো প্রোগ্রামের প্ল্যান করলাম তোমার সাথে, এগুলো শেষ না করে তুমি চলে গেলে কি করে? সালমান আজাদী রোড এক্সিডেন্টে দুনিয়ায় মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন! আল্লাহ উনাকে জান্নাত নসীব করুন।"
সালমান আজাদীর মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শফিক শাহীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, "ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন। আমাদের শিক্ষার্থী সালমান আজাদী রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুণ। আমিন। পরিবারের সবাইকে ধৈর্য্য ধারণ করার তৌফিক দিন।"
উল্লেখ্য, সালমান আজাদীর গ্রামের বাড়ি বগুড়া। তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে। মৃত্যুকালে সালমান আজাদী স্ত্রী ও এক সন্তানসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
মন্তব্য করুন: