[email protected] শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে ইলিশের

জাতীয় ডেস্ক

প্রকাশিত:
৫ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ১৭:১২

সংগৃহীত ছবি

বাজারে বেড়েছে ইলিশের সরবরাহ। তাই পাইকারি বাজারে দামও কিছুটা কমেছে। আবহাওয়া অনকূল থাকলে চলতি সেপ্টেম্বর মাসজুড়েই জেলেদের জালে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়বে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিশেষজ্ঞরা।

গতকাল সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুর বড়স্টেশন পাইকারি বাজারে গত সপ্তাহের চেয়ে প্রতি মণ ইলিশের দাম আকারভেদে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কমেছে।

পটুয়াখালীর কুয়াকাটার মত্স্যবন্দর আলিপুর ও মহিপুরেও একই অবস্থা। রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারে আকারভেদে প্রতি কেজির দাম কমেছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। তবে কিছু বাজারে দাম এখনো চড়া।

চাঁদপুরের ইলিশ ব্যবসায়ী হাজি সুমন খান জানান, গতকাল সোমবার দক্ষিণের সাগর ও উপকূল থেকে ধরা প্রায় দুই হাজার মণ ইলিশ বড়স্টেশন পাইকারি বাজারে সরবরাহ হয়।

এসব ইলিশের মধ্যে এক কেজি আকারের ওপর প্রতি মণ ৫৬ হাজার টাকা, এক কেজির নিচে মাঝারি আকারের ৩৬ হাজার টাকা মণ এবং ছোট আকারের ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৬ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহের চেয়ে প্রতি মণ ইলিশ ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে কমেছে। এতে তাঁদের লাভ তেমন একটা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

চাঁদপুর মত্স্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক জানান, কয়েক দিন ধরেই ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে।

এতে আকারভেদে দামও কমেছে। এ অবস্থা আগামী অক্টোবরে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের আগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে জেলে ও ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।

মৎস্যবিজ্ঞানী ও ইলিশ গবেষক আশরাফুল আলম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বছরজুড়ে ইলিশ মিললেও এখন সেপ্টেম্বর মাসেই ভরা মৌসুম। এই মাসে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাবে।

কুয়াকাটায় সরবরাহ বেড়েছে

কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ার পরিমাণ বৃদ্ধিতে মত্স্যবন্দর আলিপুর ও মহিপুরে এর সরবরাহ বেড়েছে। দামও কিছুটা কমেছে।

আলিপুর মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, তিন দিন ধরে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। আজ (সেমবার) এক কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৪২ হাজার থেকে ৪৪ হাজার টাকায়।

গত সপ্তাহে তা বিক্রি হয়েছিল ৫৭ হাজার থেকে ৫৮ হাজার টাকায়। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ হাজার থেকে ৩৬ হাজার টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪৪ হাজার থেকে ৪৬ হাজার টাকা। ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ২৭ হাজার থেকে ২৮ হাজার টাকা, গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ৩০ হাজার থেকে ৩২ হাজার টাকায়। আরো ছোট আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ১৮ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৮ হাজার টাকায়।

ভোলায় সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি

ভোলায় ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। জেলার বিভিন্ন মাছঘাট ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগের তুলনায় বর্তমানে ঘাটগুলোতে মাছের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে।

তুলাতুলি মাছঘাটের জেলে মো. মহিউদ্দিন মাঝি জানান, তিনি গত রাতে মেঘনায় মাছ শিকারে গিয়ে বড় সাইজের দুটি ইলিশ ও পাঁচ হালির মতো জাটকা পেয়েছেন। বড় দুটি মাছ দুই হাজর ৫০০ টাকা ও জাটকা সাড়ে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। এতে খরচ বাদে তাঁর দুই হাজার টাকা লাভ হয়েছে।

চরফ্যাশনের ঢালচর মাছঘাটের জেলে হাসান মাঝি জানান, তিনি গতকাল দুবারে সাগর মোহনা থেকে যে পরিমাণ ইলিশ পেয়েছেন, তা ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। এতে তাঁর খরচ হয়েছে সাত হাজার টাকার মতো।

একই ঘাটের সাইফুল মাঝি জানান, গত দুই দিন সাগর মোহনায় ইলিশ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। অবস্থা আগামী এক মাস বহাল থাকলে জেলেরা লাভের মুখ দেখবেন।

ভোলা জেলার মত্স্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জানান, ভোলার নদী ও সাগরে ইলিশের পরিমাণ বেড়েছে। জেলেদের জালে আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়েছে। সামনের দিনগুলোতে ইলিশ ধরা পড়ার পরিমাণ আরো বাড়বে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

বাংলা গেজেট/বিএম


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর