প্রকাশিত:
১৯ এপ্রিল ২০২৫, ২১:১০
টানা কয়েকটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন দেখে আসা বাংলাদেশবাসীকে ‘ইতিহাসের সেরা’ নির্বাচন দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এই বছরের ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী বছরের জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, “আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, এই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা এবং দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এক মাইলফলক।”
শনিবার এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এএনএফআরইএল) এর একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি একথা বলেন বলে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারকে উদ্ধৃত করে বাসস জানিয়েছে।
এএনএফআরইএল প্রতিনিধি দলটি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন। এই দলে ছিলেন
এএনএফআরইলের নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, প্রচারাভিযান ও অ্যাডভোকেসি বিভাগের সিনিয়র প্রোগ্রাম কর্মকর্তা থারিন্ডু অ্যাবেইরাথনা, প্রোগ্রাম অফিসার আয়ান রহমান খান ও প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আফসানা আমেই।
এএনএফআরইএল হলো নাগরিক সমাজের একটি আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক যা এশিয়ায় গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থার উন্নয়নে নিবেদিত, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং নাগরিক সম্পৃক্ততা বাড়াতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বৈঠকে এএনএফআরইএল প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন উদ্যোগ বিশেষ করে নাগরিক সমাজের-নেতৃত্বাধীন স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কাঠামো পুনর্গঠনের অঙ্গীকার তুলে ধরে বলে বাসস জানায়।
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনকালে অনুষ্ঠিত তিনটি নির্বাচন নিয়েই দেশে-বিদেশে প্রশ্ন উঠেছিল। তার মধ্যে দুটি নির্বাচনে অধিকাংশ দলই বর্জন করে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার নানা ক্ষেত্রে সংস্কারের পর আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে; যদিও বিএনপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চাইছে।
অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে।
এএনএফআরইএল প্রতিনিধি দলটি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশীজন ম্যাপিং এবং চাহিদা নিরূপণের মাধ্যমে নাগরিক সমাজের সম্পৃক্ততা জোরদার এবং নির্বাচনী স্বচ্ছতা বৃদ্ধির সুযোগ চিহ্নিত করার বিষয়েও আলোচনা করে।
বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে অংশীজনদের সঙ্গে চলমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা।
মন্তব্য করুন: