প্রকাশিত:
২৩ আগষ্ট ২০২৪, ১৪:৫০
দেশের ১০ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলের মানুষ গত তিন দশকে এমন বন্যা দেখেনি। নজিরবিহীন বন্যায় এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এসব এলাকার সাড়ে ৩৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। টানা বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে এসব অঞ্চলে পানি বেড়েই চলেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা ও ফেনী অংশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫ কিলোমিটার মহাসড়ক এক থেকে দেড়ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।
১০ জেলার ৬৫টি উপজেলার ৪৯৫টি ইউনিয়ন বন্যার কবলে পড়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে মোট ৮২ হাজার ৬৯৪ জন মানুষ এবং ৭ হাজার ৭৫৫টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বন্যায় সড়ক ও রেলপথ তলিয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের সাথে সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে কক্সবাজারের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৮ জন। তাদের মধ্যে কুমিল্লায় ৪ জন, ফেনীতে একজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন ও কক্সবাজারে দুজন রয়েছেন।
এদিকে দুর্গত এলাকাসমূহের মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রয়েছে। অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগও বন্ধ। বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে ফেনী, কুমিল্লাসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার ডাক, টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এ ছাড়া বিটিআরসি, বিটিসিএল ও টেলিটক ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করেছে। বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় ১০টি ভি-স্যাট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচটি ভি-স্যাট ফেনীর জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন: