[email protected] শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ

মা-বাবার পর চলে গেল শিশু আফসানাও

জাতীয় ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৩ আগষ্ট ২০২৩, ২০:২১

ফাইল ছবি

রাজধানীর জুরাইনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধের ঘটনায় বাবা-মায়ের পর মারা গেলো ৫ বছরের শিশু আফসানা। তার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ নিয়ে ঘটনাটিতে মারা গেলেন ৩ জন।

আজ বুধবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে ১৩ আগস্ট দিবাগত রাত ২টার দিকে জুরাইন মাদবর বাজার সলিমুল্লাহ রোড মন্নান মাস্টারের ৪ তলা বাড়ির নিচতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান শিশুটির মা মুক্তা খাতুন (৩০)। একই দিন বিকেলে মারা যান তার বাবা আতাহার (৩৫)।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে শিশু আফসানার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মুক্তার মামা মো. মাহবুব ঘটনার দিন জানান, ওই রাতে তিনি খবর পান, মুক্তার বাবা আলতাফ শিকদারের বাসায় বিস্ফোরণ হয়েছে। তখন তিনি ওই বাসায় গিয়ে অন্যদের সহযোগিতায় দগ্ধ পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

বিস্ফোরণে দগ্ধ হন মুক্তা (৩০), তার স্বামী আতাহার (৩৫) এবং মেয়ে আফসানা (৫), মুক্তার বাবা আলতাফ সিকদার (৭০) ও মা মর্জিনা বেগম (৫৫)।

তিনি জানান, ওই বাসায় তিতাসের গ্যাস সংযোগ রয়েছে। তবে সকালে লাইনে গ্যাস থাকে না। সকালে খাওয়ার জন্য মধ্যরাতেই তারা রান্না করে রাখেন। তার ধারণা, নিচতলা বাসায় রাতে গ্যাস লিকেজ হয়ে ভিতরে গ্যাস জমে ছিল। মধ্য রাতে রান্নার সময় সেখান থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

স্বজনরা জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায়। এক সপ্তাহ আগে মেয়ে মুক্তা খাতুন, তার স্বামী এবং মেয়েকে নিয়ে জুরাইনে বাবার বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। বিস্ফোরণে পুরো পরিবারটি দগ্ধ হয়। এতে মুক্তা, তার স্বামী ও মেয়ে মারা গেলেও চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন মুক্তার আলতাফ সিকদার ও মা মর্জিনা বেগম। সূত্র: দেশ রূপান্তর

বাংলা গেজেট/বিএম


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর