প্রকাশিত:
২৫ জুলাই ২০২৪, ১৮:৫২
গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে উত্তপ্ত ছিলো গোটা দেশ। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পর্যটন খাতে। সারাদেশে যান চলাচল বন্ধ থাকায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কোনো পর্যটক যেতে পারেনি কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলায়। যারা আগে গিয়েছিলেন তারাও আটকা পড়েন। তাতে আর্থিকভাবে বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়েছে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাসহ প্রতিটি পর্যটনখাত সংশ্লিষ্টরা।
এই যেমন কক্সবাজার। যেখানে এ সময়ে ভ্রমণ পিপাসুদের বিপুল আনাগোনা থাকে, সেখানে গত সপ্তাহখানেক ধরে যেতে পারেনি কোন পর্যটক। উল্টো আটকা পড়েছেন অনেকে। এই অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে পর্যটক খরায় ক্ষতির মুখে পড়েছে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাসহ প্রতিটি খাত। তাতে বেড়েছে ক্ষতির পরিমাণ।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, চলমান পরিস্থিতিতে পর্যটক না আসায় আমরা লোকসানে মুখে পড়েছি। আমাদের বিদ্যুৎ বিল ও অন্যান্য বিল দিতে সমস্যা হবে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দিন জানান, আমরা চাই এ পরিস্থিতির উত্তরণ এবং জনমনে স্বস্তি ফিরে আসুক। এছাড়া পর্যটন শিল্পকে রক্ষায় সরকার পদক্ষেপ নেবে।
এদিকে, বর্ষা মৌসুমে প্রাণ ফিরেছে রাঙামাটির ঝরণাগুলোয়। প্রকৃতিতে ফিরেছে আপনরূপ। কিন্তু এরপরও পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আঁধার এই শহর। তাতে ক্ষতির মুখে হোটেল-মোটেল, ট্যুরিস্ট বোট, হাউজ বোট, কটেজ মালিকসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, চলমান পরিস্থিতি পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে প্রায় চার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
একই অবস্থা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রানীখ্যাত বান্দরবান। যেখানে যৌথবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের কারণে এমনিতেই চলছে পর্যটক খরা। তার ওপর চলমান পরিস্থিতিতে যান চলাচল বন্ধ থাকায় পর্যটকশূন্য এ জেলা। একই চিত্র খাগড়াছড়িতেও। নেই পর্যটকের সমাগম। তাতে চিন্তার ভাঁজ ব্যবসায়ীদের চোখেমুখে। পর্যটন সংশ্লিষ্টদের আশা, দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হবে প্রতিটি পর্যটন স্পট। ফিরবে প্রাণচাঞ্চল্য।
মন্তব্য করুন: