প্রকাশিত:
২৪ জুলাই ২০২৪, ২৩:৪২
দেশকে নিয়ে বহির্বিশ্বে অনেক অসত্য খবর প্রচার হচ্ছে। এ বিষয়ে দেশীয় গণমাধ্যমকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এডিটরস গিল্ডের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে এ আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
এডিটরস গিল্ডের প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, যারা দেশজুড়ে নারকীয় অগ্নিসন্ত্রাস ও ভাঙচুর করলো, তারা কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী নয়। এই দুর্বৃত্তরা আন্দোলনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিল। এই দুর্বৃত্তদের পেছনে কারা রয়েছে, তা বের করা জরুরি।
বৈঠকে ইন্টারনেট বন্ধ করা এবং এরপর সীমিত পরিসরে চালুর বিষয়টি নিয়ে কথা হয়। অনেকেই ইন্টারনেট পুরোপুরি খুলে দেয়ার পরামর্শ দেন, একই সঙ্গে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাময়িক বন্ধ রাখার পক্ষে মত দেন তারা।
দেশে ইন্টারনেট সেবাদাতা কোম্পানিগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি জানিয়েছে, আজ বুধবার (২৪ জুলাই) রাতের মধ্যেই বাসাবাড়িসহ ৭০ শতাংশ ব্রডব্যান্ড সংযোগ সচল হতে পারে।
দেশে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড সেবা চালু করার পর ১২ ঘণ্টায় ৪০ শতাংশ সংযোগে ইন্টারনেট পরিষেবা সচল হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনের সভাপতি ইমদাদুল হক বলেছেন, আজ রাতের মধ্যে বাসাবাড়িসহ ৭০ শতাংশ ব্রডব্যান্ড সংযোগ সচল হতে পারে বলে তারা আশা করছেন।
তিনি বলেন, আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে অনেক এলাকায় বাসাবাড়িতে আপ হয়েছে। বাকি এলাকায়ও দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। তারপরও কিছু জায়গায় বাকি থাকবে; কারণ আমাদের ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কে অনেক জায়গায় সমস্যা। তা ঠিক করা হচ্ছে। এক-দুদিনের মধ্যে সব জায়গায় পুরোপুরি সচল হবে।
মঙ্গলবার রাতে পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড সেবা চালুর আগে ইন্টারনেট সেবাদাতা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আইএসপিএবি সভাপতি বলেন, এবারের তাণ্ডবে আইসিটি খাতের ক্ষতি ইতোমধ্যে ছাড়িয়ে গেছে শত কোটি টাকা। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাতময় পরিস্থিতির মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গত বৃহস্পতিবার সেদিন মহাখালির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে আগুন দেওয়া হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সড়কের ওপর থাকা ইন্টারনেট সেবাদাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তার। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েকটি ডেটা সেন্টারও। সে কারণেই সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায় বলে প্রতিমন্ত্রীর ভাষ্য।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালুর ক্ষেত্রে কোন কোন খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে পলক বলেন, ব্যাংকিং সেক্টর, বাণিজ্যিক অঞ্চল, গণমাধ্যম, কূটনৈতিক অঞ্চল, পোশাক শিল্প, আইটি ফ্রিল্যান্সার, আউটসোর্সিং বিজনেস, সফটওয়্যার ডেভেলপার, রফতানিকারক তাদেরকে প্রাধান্য দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে য দ্রুত সম্ভব ইন্টারনেট চালু হচ্ছে।
মন্তব্য করুন: