প্রকাশিত:
১৪ জুলাই ২০২৪, ১৬:০৬
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে বঙ্গভবন অভিমুখে শিক্ষার্থীদের গণপদযাত্রাটি পুলিশি বাধার মুখে রাজধানীর জিরোপয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। সেখান থেকে তাদের ১০ জন প্রতিনিধি স্মারকলিপি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বঙ্গভবনে।
জিরোপয়েন্টে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এই তথ্য জানিয়েছেন। এই সময়ে বাকি শিক্ষার্থীরা অবস্থান করবেন জিরোপয়েন্ট থেকে সচিবালয়ের সামনের সড়কে।
রোববার (১৪ জুলাই) দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণপদযাত্রা করে শিক্ষাভবন মোড় হয়ে জিরোপয়েন্টে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় আন্দোলনের সমন্বয়করা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা ঢালাওভাবে বঙ্গভবন অভিমুখে যাবো না। আমাদের প্রতিনিধি যাবে।
এদিকে জিরো পয়েন্ট থেকে বায়তুল মোকাররম অভিমুখী সড়কে ব্যারিকেড দিয়েছে পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, জিরো পয়েন্ট থেকে বঙ্গভবনে যাওয়ার পথে শত শত পুলিশ সদস্য ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে আছেন। ফলে এই দিক দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে এবং কাউকেই ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না পুলিশ।
এ অবস্থায় আন্দোলনকারীরা জিরো পয়েন্টে সড়কের ওপর বসে পড়েছেন। সেখানে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
কর্মসূচি অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ পদযাত্রা শুরু হয়। একইসঙ্গে আন্দোলনে থাকা ঢাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও এই গণপদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন।
আন্দোলনের সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজধানীর শিক্ষার্থীরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবেন। রাজধানীর বাইরে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেবেন। সারা দেশে প্রায় ৫০টি জেলা থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সমন্বয়করা।
প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণভবন অভিমুখে গণপদযাত্রার ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তাছাড়া অন্যান্য জেলা থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
মন্তব্য করুন: