[email protected] শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

‘লক্ষ্মী ভাইয়েরা, প্লিজ ফিরে যান’ কোটাবিরোধীদের পুলিশ

মর্নিং টাইমস ডেস্ক

প্রকাশিত:
১১ জুলাই ২০২৪, ২১:৪১

ছবি : সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে ব্যারিকডে ভেঙে কারওয়ানবাজারমুখী হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তবে বাংলামোটরে শিক্ষার্থীদের ঘিরে রাখে পুলিশ।

এ সময় মাইকিংয়ের মাধ্যমে ‘লক্ষ্মী ভাইয়েরা আমার, প্লিজ শাহবাগ ফিরে যান’ বলে আন্দোলনকারীদের অনুরোধ জানানো হয়। এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বদলে অন্য কেউ থাকলে তাকে দুষ্কৃতকারী হিসেবে গণ্য করা হবে বলে পুলিশের মাইকিংয়ে বলা হয়েছে।

পুলিশের অনুরোধে আন্দোলকারীরা বাংলামোটর থেকে শাহবাগ মোড়ে ফিরে যান। এখন পর্যন্ত শাহবাগেই অবস্থান করছেন তারা। সেখানে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকলেও বাংলামোটর-কাওরানবাজারের স্বাভাবিক রয়েছে।

বিকাল ৪টা থেকেই শাহবাগ মোড়ের বিভিন্ন স্থানে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ অবস্থান নেয়। বিকাল ৫টার কিছু সময় আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে বিভিন্ন স্লোগানে শাহবাগের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তবে শাহবাগ মোডে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। এতে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কিছু সময় ধস্তাধস্তি হয়।

অবশেষে ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশ সদস্যদের ঠেলে শাহবাগ মোড় ও মেট্রেরেল স্টেশনের নিচে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পিছু হটতে বাধ্য হন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় কিছু শিক্ষার্থীকে পুলিশের সাঁজোয়া যানের ওপর উঠে উল্লাস করতে দেখা যায়। বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

এদিকে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়ার পর থেকে রাস্তায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। শাহবাগ থেকে এলিফ্যান্ট রোডগামী, বাংলা মোটরগামী, মৎস্য ভবনগামী ও টিএসসিগামী রাস্তায় যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটাপদ্ধতি বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তখন সরকারি চাকরিতে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল ৩০ শতাংশ। এছাড়া ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ জেলা, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এবং ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা ছিল। সব মিলিয়ে ৫৬ শতাংশ।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর