[email protected] শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

লোহিত সাগরে অস্থিরতা, কনটেইনার সংকটে রপ্তানিকারকরা

মর্নিং টাইমস ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৭ জুন ২০২৪, ২২:৩৮

ছবি সংগৃহীত

ফলে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা অতিরিক্ত খরচের পাশাপাশি পোশাকের ক্রয় আদেশ হারানোর আশঙ্কা করছেন, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের রফতানি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার শঙ্কা তৈরি করছে।

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে পণ্য আমদানি- রপ্তানি সহজ পথ আরব সাগর ও ভূমধ্যসাগরের সংযোগকারী লোহিত সাগর এবং সুয়েজ খাল। কিন্তু লোহিত সাগরে হুতিদের হামলার কারণে বিশ্বের কোম্পানিগুলো আফ্রিকার উত্তমাশা অন্তরীপ হয়ে ঘুরপথে পণ্য পরিবহন করছে। এতে এশিয়া থেকে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজ যাতায়াতে প্রায় ২২ দিন বেশি সময় প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরসহ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং ও শ্রীলঙ্কার কলম্বোর মতো ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরেও কনটেইনারের সংকট তৈরি হচ্ছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের রপ্তানিতে।

বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পণ্যের ৭৫ শতাংশ হয় ৪০ ফুট আকৃতির কনটেইনারে। বাকি ২৫ শতাংশ হয় ২০ ফুট আকৃতির কনটেইনারে। তৈরি পোশাক রপ্তানির বেশিরভাগই হয় ৪০ ফুট কনটেইনারে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘লোহিত সাগরে অস্থিরতা শুরুর পর থেকেই কনটেইনারের সংকট ছিল। তবে চলতি (জুন) মাসে সেই সংকট বেড়েছে। তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের অনেকেই জানিয়েছেন তারা রফতানির জন্য কাঙ্ক্ষিত কনটেইনার পাচ্ছেন না।’

‘কনটেইনারের অভাবে রফতানিপণ্য জাহাজীকরণ সম্ভব হচ্ছে না। অফডক ও কারখানায় বাড়ছে রপ্তানি পণ্যের জট। এতে খরচ যেমন বাড়ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে ক্রয়াদেশ হারানোর শঙ্কা।’ বলেন রাকিবুল আলম চৌধুরী।

বিকডার তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার দেশের ২৮টি অফডকে ৫৩ হাজার টিইউএস কনটেইনার ছিল।

বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি খায়রুল আলম সুজন বলেন, ‘তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা সাধারণত ৪০ ফুটের কনটেইনার পণ্য রপ্তানির জন্য ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। কিন্তু এখন শিপিং লাইনগুলো থেকে ২০ ফুটের কনটেইনার পাওয়া গেলেও ৪০ ফুটের কনটেইনার পেতে বেগ পেতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু হুতি সংকটের কারণে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য পরিবহনে এক ট্রিপে প্রায় ১১ দিন সময় বেশি প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে যাওয়া-আসায় প্রায় ২২ দিনের একটা গ্যাপ তৈরি হচ্ছে। এক সময় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সপ্তাহে তিনটি মাদার ভেসেল ছেড়ে গেলেও এখন মাদার ভেসেলের সংখ্যা অনেক ক্ষেত্রে দুটিতে নেমে এসেছে। ফলে তৈরি পোশাক রপ্তানিপণ্য পরিবহনে কনটেইনার সংকট তৈরি হচ্ছে।’


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর