[email protected] শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দুর্নীতি সহায়ক: টিআইবি

মর্নিং টাইমস ডেস্ক

প্রকাশিত:
৭ জুন ২০২৪, ০০:৪২

ছবি : সংগৃহীত

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দুর্নীতি সহায়ক বলে আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানায় সংস্থাটি।

সংস্থাটি বলছে, মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার এমন সুবিধা সৎ ও বৈধ আয়ের ব্যক্তি করদাতাকে নিরুৎসাহিত করার সংস্কৃতি গড়ে তোলার পাশাপাশি এর আওতায় ঘোষিত অর্থ ও সম্পদের ব্যাপারে কোনো কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন করার সুযোগ না রাখা, দেশে দুর্নীতিসহায়ক একটি উদার পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলেই শঙ্কা।

একইসঙ্গে এই সুযোগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন দলের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার অঙ্গীকার, যা প্রায়শই সরকার প্রধানসহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব পুনরাবৃত্তি করে থাকেন, সেই অঙ্গীকারকে প্রহসনে পরিণত করেছে। এমন বাস্তবতায় কালো টাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে টিআইবি।

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার বিপরীতে সৎ করদাতাদের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ কর দেয়ার বিধান বৈষম্যমূলক এবং অসাংবিধানিক।

বিষয়টি একজন সুনাগরিকের প্রতি বৈষম্যমূলক, একইসঙ্গে তা সংবিধানের ২০ (২) অনুচ্ছেদকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। এ প্রক্রিয়ায় নৈতিক আপস করে প্রত্যাশিত রাজস্ব আদায়ের স্বপ্ন স্বল্প কিংবা দীর্ঘমেয়াদে কখনোই বাস্তবায়িত হবে না।

যার বড় উদহারণ হলো দুই বছর আগে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। আবার দেশ থেকে পাচার করা টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেয়া হলেও, কেউ সে সুযোগ নেননি। তাই বাজেটে এমন সুযোগ আসলে কাদের স্বার্থে রাখা হচ্ছে-সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলা মোটেই অমূলক নয়।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর