প্রকাশিত:
৩ জুন ২০২৪, ২০:৩০
চাঁদাবাজি করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান ও তার সহযোগী শহিদুল ইসলামকে গণপিটুনি দিয়েছেন দোকানিরা।
গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পলাশী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ওই দুজনকে চকবাজার থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগের বদিউজ্জামান সোহাগ ও সিদ্দিকী নাজমুল আলম কমিটিতে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখার সভাপতি ছিলেন মেহেদী হাসান। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহসভাপতি ছিলেন তিনি। ২০২১ সালে সলিমুল্লাহ হল থেকে মাদক ও নারীসহ আটক হন মেহেদী। ওই সময় হল প্রশাসন তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের হাতে তুলে দেয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় প্রতি দিন চাঁদাবাজি করতে আসেন মেহেদী হাসান ও তার সহযোগী শহিদুল ইসলাম। এর আগে পলাশী বাজারের কলা বিক্রেতা দেলোয়ারের কাছ থেকে এক হাজার টাকা এবং কনফেকশনারি দোকানের মালিক সানাউল্লাহর কাছ থেকে চাঁদা নেন তারা।
পলাশী দোকান মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে এসে এই ছাত্রলীগ নেতা আমাদের দোকানিদের থেকে চাঁদা দাবি করেন। বাধা দিলে তিনি নজরুল নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করেন এবং চাপাতি দিয়ে কোপাতে যান। পরে ওই ব্যবসায়ী পালিয়ে গেলে আমাকে চাপাতি দিয়ে মারতে আসেন। আশপাশে থাকা দোকানিরা আমাকে উদ্ধার করেন এবং তাদের ধরে ফেলেন। তারপর সবাই মিলে পিটুনি দেন। পরে আমরা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে নিয়ে যায়।’
আরেক ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদা চাইতে এলে আমরা তাকে (মেহেদী হাসান) বাধা দিই। তাতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে আমাকে ঘুষি মারেন এবং পরে চাপাতি নিয়ে আসেন, কিন্তু আমি সরে যাই। তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। নিয়মিত অত্যাচার ও চাঁদাবাজি করেন তারা।’
মন্তব্য করুন: