প্রকাশিত:
২৯ মে ২০২৪, ২০:১৩
তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রায় ৩৫ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বুধবার (২৯ মে) বিকেল ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
সিইসি বলেন, সীমিত পরিসরে কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তবে নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তৃতীয় ধাপে ভোট ৩০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। তবে এর কমও হতে পারে, বেশিও হতে পারে।
তিনি জানান, তৃতীয় ধাপেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশৃঙ্খলা রোধে তৎপর ছিল। ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা ভোট কারচুপির চেষ্টা করেছিলেন। এরমধ্যে দুইজনকে তাৎক্ষণিক কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
তৃতীয় ধাপে তেমন বিশৃঙ্খলা হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ৬ জন আহত হওয়ার বিষয়ে জেনেছি। আর সহিংসতায় তেমন কেউ আহত হয়নি। এ ছাড়া ভোটগ্রহণ চলাকালে আমাদের একজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। এ সময় ওই পিসাইডিং অফিসারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশের পাশাপাশি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন সিইসি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাঙামাটির নানিয়ার চরে ইউপিডিএফ সদস্যরা কিছু ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছিল। তবে সে কারণে ভোট বন্ধ হয়নি। ছিনতাই হওয়া ব্যালট বাতিল করে নতুন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ নিরবচ্ছিন্ন ছিল। এ ছাড়া নানিয়ার চরের জাহানতলী ভোটকেন্দ্রেও ৫০-৬০ জন ইউপিডিএফ সদস্য বিশৃঙ্খলা কারর চেষ্টা করেছিল, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের প্রতিহত করেছে।
তবে একটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পটিয়ার একটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রিসাইডিং অফিসার এবং এজেন্টকে গ্রেপ্তার করতে হয়েছে। এরমধ্যে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রিসাইডিং অফিসার শিক্ষক হয়েও অবৈধভাবে ব্যালটে পেপারে সিল দিচ্ছিলেন। সেটি নজরে আসা মাত্রাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন: