প্রকাশিত:
২৪ মে ২০২৪, ২১:২৭
এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম কমেছে। তবে বেড়েছে কুরবানি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উপকরণের দাম। পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। তবে চাহিদা কমে যাওয়ায় মুরগির দাম এখন নিম্নমুখী।
উৎপাদন কমে যাওয়ার অজুহাতে কয়েক সপ্তাহ বাজধানীসহ সারাদেশের বাজারগুলোয় অস্থিতিশীল ছিলো ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম। তবে ক্রেতাদের জন্য কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছে। শুক্রবার বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সোনালী মুগরির জাত সপ্তাহান্তে কমেছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকায় । আর ব্রয়লার মুরগির কেজি ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বর্তমান দাম ২২০ টাকা।
যদিও গরুর মাংসের আবারও সেই অস্বস্তি। হাতে গোনা কিছু জায়গায় ৭৫০ টাকায় মিললেও বেশিরভাগ বাজারেই বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। মুরগির ডিমের দাম নতুন করে না বাড়লেও এখনো সেই বাড়তি দামেই কিনে খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ডজন কিনতে এখনও গুনতে হচ্ছে ১৫০ টাকা।
ডলারের দাম বাড়ানোর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আমদানি করা আদা আর রসুনে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। সেই সাথে দেশি পেঁয়াজের অযৌক্তিক দামও ভোগাচ্ছে ক্রেতা সাধারণকে। বেশিরভাগ জাতের মাছের দাম নতুন করে বাড়েনি। যদিও ইলিশ, রূপচাঁদার পাশাপাশি খাল-বিলের মাছের দামও বেশিরভাগ মানুষের নাগালের বাইরে।
সরবরাহ বাড়ায় কেবল পেপে ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে ২০ টাকা পর্যন্ত। তবে অন্য নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি থাকায় স্বস্তির সুযোগ নেই। মিনিকেট, নাজিরশাইলসহ বেশিরভাগ চালের দাম স্থিতিশীল। তবে মোটা জাত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়।
মন্তব্য করুন: